মরদেহ নিতে শিবচরে ছুটছেন স্বজনরা
কে এম নাসিরুল হক ও মো. ছগির হোসেন, শিবচর থেকে
মাদারীপুরের ২৬ জনের মরদেহ নিতে শিবচরে ছুটে আসছেন স্বজনরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে নিহতের স্বজনরা মাদারিপুরের শিবচরে আসতে শুরু করেছেন।
এর আগে সোমবার (৩ মে) সকাল পৌনে ৭টায় মাদারীপুরের শিবচরে থেমে থাকা বালুবোঝাই বাল্কহেডে স্পিডবোটের ধাক্কায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে।
নিহতদের মধ্যে ২৪ জনের লাশ নদীর পাড়ে রয়েছে। দুজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যাওয়ায় তাদের লাশ সেখানেই রাখা হয়েছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে স্বজনরা আসতে শুরু করেছে। তারা স্বজনদের লাশ চিহ্নিত করে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে এ এলাকার আকাশ-বাতাস।
ফায়ার সার্ভিসের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, স্পিডবোটটির বেপরোয়া গতির কারণে ঘাটের কাছে এসে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। এ সময় ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের ওপর আছড়ে পড়ে স্পিডবোটটি। মূলত দ্রুত গতির কারণেই এত বেশি হতাহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া মাওয়া কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার মো. ফখরুল ইসলামের বরাতে গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা রেদোয়ান বলেন, উদ্ধারকৃত ও নিহতদের কারো গায়ে লাইফ জ্যাকেট পাওয়া যায়নি। স্পিডবোট শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেলে ঠিক কখন নাগাদ ও কোন পয়েন্ট থেকে ছেড়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, দুর্ঘটনা এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। মর্মান্তিক নৌ-দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে।
এএইচ/এমকেএইচ