পেট্রাপোলে মানা হচ্ছে না করোনা-বিধি, মোদিকে ব্যবসায়ীদের চিঠি
করোনা পরিস্থিতিতে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে বাণিজ্য-সংক্রান্ত কাজে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শয়ে শয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে বন্দরে আসেন চালক-খালাসিরা। কিন্তু অনেকের মুখে মাস্ক নেই। নেই পিপিই। কেউ কেউ একই পিপিই একাধিকবার ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে পেট্রাপোল বন্দরে করোনা-বিধি মেনে বাণিজ্য-সংক্রান্ত কাজ চলছিল। কিন্তু এখন সংক্রমণ বাড়লেও বন্দর এলাকা স্যানিটাইজার করা হচ্ছে না। ট্রাকের চালক-খালাসিদের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না। মাস্ক-স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
ক্লিয়ারিং এজেন্টদের দাবি, সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়েও তারা সামনে থেকে বাণিজ্যের কাজ করছেন। সরকারি আধিকারিকদের প্রতিষেধক দেয়ার ব্যবস্থা করা হলেও তাদের প্রতিষেধক দেয়ার ব্যবস্থা হয়নি।
কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘গত বছর সিডব্লিউসি কর্তৃপক্ষ বন্দর এলাকায় স্যানিটাইজ করতেন। এ বার তাদের হাতে দায়িত্ব নেই। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি এখন নিজেরাই দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না।’
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাইরে থেকে পেট্রাপোল বন্দরে আপাতত ট্রাক আসা বন্ধ করার দাবি তুলে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মেন্টর গোপাল শেঠ মুখ্য সচিব-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
গোপাল শেঠ বলেন, ‘বনগাঁর করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। অবিলম্বে বাইরের ট্রাক ঢোকা বন্ধ করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেবে।’
এরইমধ্যে চলে আসা ট্রাকগুলো দ্রুত খালি করে ফেরত পাঠানোরও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
মো. জামাল হোসেন/এসজে/এমকেএইচ