রামেকে বাড়ছে আরও একটি করোনা ওয়ার্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ২০ জুন ২০২১

দফায় দফায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আরও একটি সাধারণ ওয়ার্ডকে কোভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। রামেক হাসপাতালের ১৭নং ওয়ার্ডটি করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করা হবে বলে জানিয়েছে রামেক কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২০ জুন) রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ১৭নং ওয়ার্ডে বর্তমানে ৩৬টি শয্যা রয়েছে। ওই ওয়ার্ডে বারান্দায় বাড়তি জায়গা থাকায় আরও ১২টি শয্যার ব্যবস্থা করা যাবে। এতে সেখানে মোট ৪৮ জন করোনা রোগীর সেবা দেয়া সম্ভব। ওয়ার্ডটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের কাজ শেষ হলে দু’একদিনের মধ্যেই সেখানে করোনা রোগীদের রাখা হবে।

রামেক পরিচালক জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় রামেক হাসপাতালে এখন একের পর এক সাধারণ ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হচ্ছে। এখন হাসপাতালের ১, ৩, ১৫, ১৬, ২২, ২৫, ২৭, ২৯-৩০ এবং ৩৯-৪০নং ওয়ার্ডে করোনা রোগী রাখা হয়। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ২০টি ও কেবিনে ১৫টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যা আছে। ১৭নং ওয়ার্ডের কাজ সম্পন্ন হলে রামেকে কেবিন ও আইসিইউসহ মোট ১২টি করোনা ওয়ার্ড হবে। সবমিলিয়ে মোট শয্যার সংখ্যা হবে ৩০৯টি। ১৭নং ওয়ার্ডের ৪৮টি শয্যা যুক্ত হলে মোট শয্যা সংখ্যা হবে ৩৫৭টি।

অক্সিজেন সুবিধার প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘যেসব রোগী শয্যায় আছেন, কেবল তারাই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের সুবিধা পান। মেঝে কিংবা বারান্দায় থাকা রোগীদের সিলিন্ডার ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের মাধ্যমে অক্সিজেন দেয়া হয়। হাসপাতালে ১৮৩টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং ৭২৫টি সিলিন্ডার আছে। এজন্য রোগীদের অক্সিজেনের সমস্যায় পড়তে হয় না।’

সংক্রমণের বৃদ্ধি রোধে পরামর্শ দিয়েছেন রামেক পরিচালক। তিনি বলেন, ‘লকডাউনটা যদি জনসাধারণ সঠিকভাবে মেনে চলে তবে সংক্রমণও অনেকাংশে কমে যাবে। কারণ, সামাজিকভাবে সংক্রমণের কারণেই এই রোগ ছড়ায়। আর তাই লকডাউনের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা আবশ্যক, তবেই সংক্রমণ কমবে।’

ফয়সাল আহমেদ/এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।