৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় দিনমজুরকে মারধরের অভিযোগ
ভোলার লালমোহনে ৩৩৩ নম্বরে কল দিয়ে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় মো. ফারুক নামে এক দিনমজুরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে টাকার অভাবে আহত ফারুক চিকিৎসা নিতে পারেননি বলেও জানা গেছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার (২৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার বিকেলে মারধরের শিকার মো. ফারুক বলেন, ‘আমি একজন দিনমজুর। করোনার কারণে অন্য কাজও নেই। তাই অভাব অনটনে দিন কাটছে। আমার কষ্ট দেখে প্রতিবেশী মো. আলমের মেয়ে রুমা বেগম শুক্রবার (২৫ জুন) ৩৩৩ নম্বরে কল করে আমার জন্য খাদ্য সহায়তা চান।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওইদিন বিকেলে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফোন করে আমাকে পরিষদে আসতে বলে। তিনি ওই দিন বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাকে চাল দেয়া হয়নি। চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। ওই সময় কয়েকজন এসে আমাকে ৩৩৩ নম্বরে কল কেনো দিয়েছি এটা বলে মারধর শুরু করে চলে যান। পরে আহত অবস্থায় আমি বাড়ি ফিরে আসি। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারিনি।’
এ বিষয়ে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘গত ১০-১৫ দিন আগে ফারুককে ৮০ কেজি জেলে কার্ডের চাল দেয়া হয়েছে। তাকে আরও খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।’
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফারুককে আমি তো দূরের কথা কেউ শাসায়নি। আর তাকে কেউ মারধরের প্রশ্নই আসে না। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ফারুককে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য।’
লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল নোমান বলেন, ‘আমাদের কাছে ফারুকের খাদ্য সহায়তার এসএমএস আসলে আমি চেয়ারম্যানকে সহায়তার জন্য বলি। আজ বিকেলে শুনেছি ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চাওয়া তাকে মারধর করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল ফারুকের সঙ্গে আমি কথা বলব। বিষয়টি আমি নিজেই তদন্ত করব।’
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসজে/এমএস