ভোলায় স্থানীয় পশুতে মিটবে কোরবানির চাহিদা
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ভোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। কোরবানির হাটে পশু বিক্রির জন্য প্রতি বছরের মত এবারো প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে কাজ করে যাচ্ছেন ছোট-বড় খামারিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোরবানিকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোলার সাত উপজেলার দুই হাজার ৯৭৫ জন খামারি। জেলার সাত উপজেলায় কোরবানির জন্য এক লাখ ছয় হাজার ৭৫৪টি পশুর মজুদ রয়েছে। জেলা কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৬০টি। এর মধ্যে ৭৩ হাজার ৩২৪টি গরু, দুই হাজার ৩১০টি মহিষ, ২৫ হাজার ২০৮ টি ছাগল ও এক হাজার ২১৮টি ভেড়া মজুদ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ছোট বড় খামারিরা কোরবানির পশুরহাটে গরু বিক্রি করার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে খইল, ভুষি, কাঁচা ঘাস, খড়সহ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা।
ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর গাজী গ্রামের খামারি মো. মোছলে উদ্দিন, আবু কালাম ও আব্দুল মতিন বলেন, প্রতিবছর কোরবানির হাটে গরু বিক্রির জন্য জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কম দামে গরু ক্রয় করি। পরে দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপায়ে খইল, ভুষি, কাঁচাঘাস ও খড় খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়।
তারা আরও বলেন, এবছরও আমরা গরু মোটাতাজা করেছি। কোরবানিতে বিক্রি করবো। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় না হলে গরুর ভালো দাম পাবো না। আর দাম ভালো না পেয়ে ঋণ পরিশোধ করতে বিপাকে পড়তে হবে।

ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর ভেদুরিয়া গ্রামের মো. ইউনুছ বলেন, অনেক কষ্ট করে দেশী পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে হাটে বিক্রি করতে নিবো। কিন্তু কিছু অসাধু খামারিরা ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়ে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করে হাটে বিক্রি করতে আনবে। আমরা ওই সব অবৈধ খামারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ভোলায় চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। স্থানীয়দের উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানি চাহিদা মেটানো যাবে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/আরএইচ/জিকেএস