লকডাউনে থমথমে ঠাকুরগাঁও
করোনার সংক্রমণ রোধে সারা দেশে ১২তম দিনের মতো চলছে কঠোর লকডাউন। কঠোর লকডাউন দেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ে লকডাউনের কারণে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দোকানপাটও বন্ধ। অকারণে কাউকে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে না।
আজ সোমবার (১২ জুলাই) ঠাকুরগাঁও জেলা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তা ও বাসস্ট্র্যান্ড এলাকায় সব দোকানপাট বন্ধ। জরুরি প্রয়োজনে খাবারের হোটেলে পার্সেলের ব্যবস্থা রয়েছে। ওষুধের দোকান চালু রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া খাবার হোটেল বা ফার্মেসিতে কেউ আসছে না। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। বিজিবি সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা যায়।
ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় ওষুধ কিনতে আসেন শামীম হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার জন্য শহরে এসেছি। প্রয়োজন ছাড়া এখানে কেউ ঘর থেকে বের হয় না। স্বাস্থ্যবিধি এখানে সবাই মেনে চলে।’
ঠাকুরগাঁও সদরের নতুনপাড়া গ্রামের শাহজালাল জুয়েল বলেন, ‘এই কঠোর লকডাউন চলাকালে আমরা প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছি না। আমরা সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ মেনে চলছি।’
ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। আমরা সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য ১৯টি চেকপোস্ট ও ১১টি মোবাইল টিম পরিচালনা করছি। বাজারে বাজারে গিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। সবাইকে সতর্কতার জন্য মাইকিং করছি। সব মিলে আমরা জনগণের স্বার্থে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
জেএ/এমএইচআর/জিকেএস