দুই লাখ টাকার ব্যবস্থা হলে জয়েন্ট ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন দুলুফা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২১

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর দুলুফা আক্তার (২৬) দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন হিপ জয়েন্টের ব্যথায়। ছয় বছর ধরে চিকিৎসা চলছে। এখন বেশিরভাগ সময়ই কাটাতে হয় বিছানায়।

অসহায় এই নারীর একটাই আঁকুতি—তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে চান। তবে তিনি সুস্থ হতে প্রয়োজন দুই লক্ষাধিক টাকার, যা তার অসহায় পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না।

উপজেলার পোগলদিঘা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার মো. দুদু মিয়ার চার মেয়ে আর এক ছেলের মধ্যে দুলুফা দ্বিতীয়। অসচ্ছল পরিবারের আয়ের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি মো. দুদু মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাড়া আর জিলাপি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। সারাদিন বিক্রি করে যা আয় করেন তা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। আর করোনার কারণে আয় তেমন নেই বললেই চলে। সেখানে দুলুফার চিকিৎসার খরচ চালানো তার পক্ষে কষ্টসাধ্য।

দুলুফার পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০০৯ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী গ্রামের গুয়াখোড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আল মামুনের সঙ্গে দুলুফার বিয়ে হয়। ১৭ বছর বয়সে তার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। বছর পার না হতেই দ্বিতীয় সন্তানের মা হন। এর কিছুদিন পর থেকেই হিপ জয়েন্টের ব্যথায় আক্রান্ত হন তিনি। কাঠমিস্ত্রির কাজ করে খুব বেশি আয় করেন না স্বামী মামুন। তাই চিকিৎসার খরচও তার পক্ষে দেয়া সম্ভব হয় না।

jagonews24

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই মিলে অনেক কষ্টে প্রায় তিন লাখ টাকা জোগাড় করে রাজধানীর কলাবাগানের মেডিএইড হাসপাতালে দুলুফার বাম পায়ের অপারেশন করান। এখন ডান পায়ের অপারেশনের জন্য প্রয়োজন আরও দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা। অপারেশনের এক মাস পর আবার যেতে বললেও টাকার অভাবে তাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে দুলুফার একমাত্র সম্বল বাবার ভিটেমাটি। আকুতি জানিয়ে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি বাঁচতে চাই। আমি সুস্থ না হলে আমার বাবা-মাও মারা যাবেন। দয়া করে আমাকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।’

সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মেয়েটিকে যতদূর সম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।