বিদ্রোহীদের দাপটে কোণঠাসা নৌকার প্রার্থীরা
হবিগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। জেলার ২১ ইউনিয়নে ২৩ বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। এসব ইউনিয়নের বেশিরভাগ প্রার্থীই নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন।
তবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শিগগির সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভেকেট মো. আলমগীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে এখনও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগ সে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পাওয়া মাত্রই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দলীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার আটটি ও নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নভেম্বর এসব ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সদর উপজেলায় আট বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হচ্ছেন- লুকড়া ইউনিয়নে কয়ছর আহমেদ শামীম ও আলহাজ মীর জালাল, তেঘরিয়া ইউনিয়নে মো. সেবলু মিয়া ও মো. আবুল কাশেম, গোপায়া ইউনিয়নে আক্তার হোসেন, রাজিউড়া ইউনিয়নে তাজ উদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম বাবুল এবং নিজামপুর ইউনিয়নে মো. তাজ উদ্দিন।
নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ১৫ বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন- বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নে মেহের আলী মহালদার ও খালেদ মোশারফ, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে প্রবাসী মো. ছায়েদ উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা নোমান আহমদ, আউশকান্দি ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা আব্দুল হামিদ নিক্সন, কুর্শি ইউনিয়নে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মুকিত ও আবু তালিম, করগাঁও ইউনিয়নে নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমদ চৌধুরী, বাউসা ইউপিতে প্রবাসী জুনেদ হোসেন চৌধুরী, দেবপাড়া ইউপিতে যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ। গজনাইপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফেজ আইয়ুব আলী, কালিয়ারভাঙ্গা ইউপিতে আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক চৌধুরী, পানিউন্দা ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা মহিবুর রহমান মামুন প্রমুখ।
বিদ্রোহীদের অনেকেরই এলাকায় শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাদের দাপটে নৌকার প্রার্থীরা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের অনেকেরই জয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/এএসএম