কোনোভাবেই নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে পারছেন না বীর মুক্তিযোদ্ধা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

মুক্তিযুদ্ধ চালাকালীন রণাঙ্গণে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। লুহাইউনি চা বাগানের সম্মুখযুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন পাকিস্তানি হয়েনাদের। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও রাজনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি তাকে স্থান দিয়েছে শহীদ যোদ্ধাদের তালিকায়। তাই এখন নিজেকে জীবিত প্রমাণ ও জীবিতের তালিকায় স্থানান্তরের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানের বাড়ি উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখত আবেদন করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানের দেয়া লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান সম্মুখযুদ্ধ করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম ছিলো না। বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই শুরু হলে তিনি তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গঠিত কমিটি ২০১৪ সালের ১৪ মে সভা করে। এতে তৎকালীন এডিসি জহিরুল হক সভাপতিত্ব করেন। সভায় তার আবেদন যাচাই বাছাই ও সাক্ষাৎকার শেষে আব্দুল হান্নান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হন এবং তাকে তালিকাভুক্তির সুপারিশও করা হয়।

কিন্তু রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ওই বছরের ১ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানের নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় উল্লেখ করা হয়। তেমনিভাবে একই মাসের (জুন-১৪) ৩০ তারিখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় তার নাম উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখ মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভা শেষে তিনি জানতে পারেন তার নাম জীবিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় প্রস্তাব না করে শহীদের তালিকায় প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি। সেই আবেদনের দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এখনো এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান জাগো নিউজকে বলেন, নিজের নাম জীবিতের তালিকায় উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও বড় কর্তাদের নিকট ধরনা দিয়েও কোনো ফল পাচ্ছি না। নিজেকে জীবিত প্রমাণের জন্য প্রাণান্তর চেষ্টাও যেন কাজে আসছে না। আমি এর সুরাহা চাই।

এ ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল জাগো নিউজকে বলেন, আমি রাজনগর আসার পর এ ধরনের কোনো সংবাদ পাইনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

আব্দুল আজিজ/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।