ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বিষপানে মৃত্যু, কারাগারে ২

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২২
ফাইল ছবি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর বিষপানের ১২ দিন পর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

এ ঘটনায় শনিবার (৮ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রধান আসামি নাজমুলের ভাই সুলতান মিয়া ও লাল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত নাজমুল শেরপুর সদর উপজেলার চান্দেরনগর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি কুত্তামারা গ্রামে ড্রেজার দিয়ে মাটিকাটার কাজ করেন।

কিশোরীর বাবা জানান, তার স্ত্রী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গত ১৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়েকে ঘরে একা রেখে পাশের বাজারে চা পান করতে যান তিনি। এ সময় নাজমুল জোর করে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী কান্না শুরু করলে নাজমুল পালিয়ে যান।

কিশোরীর বাবা আরও জানান, এ বিষয়ে পুলিশের আশ্রয় নিতে চাইলে স্থানীয় লোকজন তাকে বাধা দেয় এবং স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ ঘটনা প্রকাশ পেলে কলঙ্ক হবে ভেবে মেয়ের বাবা তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেন। একপর্যায়ে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে মেয়েটিকে কটু কথা বলতে থাকেন স্থানীয়রা। এ অপমান সইতে না পেরে গত ২১ ডিসেম্বর মেয়েটি বিষপান করে। প্রথমে তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। পরদিন অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জানুয়ারি সে মারা যায়।

মেয়েটির বাবা বলেন, গত ২ জানুয়ারি থানায় মামলা করি। ৮ জানুয়ারি পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাজমুলের দুই ভাই সুলতান মিয়া ও লাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ধর্ষণ মামলা করলে দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ইমরান হাসান রাব্বী/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।