সখিপুরে আগুনে পুড়ে গৃহবধূর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

টাঙ্গাইলের সখিপুরে শালিসি বৈঠক শেষে সোমা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ শরীরে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে মেয়ের পরিবার দাবি করছে, তাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমা আক্তারের মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী জানান, পারিবারিক বনাবনি না হওয়ায় গত শনিবার দুপুরে উপজেলার বোয়ালী পশ্চিমপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে একটি শালিসি বৈঠক হয়। তার কিছুক্ষণ পর বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে সোমা নিজেই শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এ ঘটনার চারদিন পর চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।
তবে মেয়ের মা পারভীন আক্তার বলেন, আত্মহত্যা নয় আগুন জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়েছে তার মেয়েকে।
মেয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে সোমা আক্তারের সঙ্গে সখিপুর উপজেলার বোয়ালী পশ্চিমপাড়া এলাকার সোমেশ আলীর ছেলে এরশাদ মিয়ার বিয়ে হয়। এর আগেও এরশাদ একটি বিয়ে করেছিলেন।
সখিপুর থানা
মেয়ের মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়েকে আগুন দিয়ে পুড়ানোর সময় বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। আগেও আমার মেয়েকে তার স্বামী এরশাদ নির্যাতন করেছে। স্বামী-শ্বশুর মিলে আমার মেয়েকে আগুন ধরিয়ে পুইড়া মারছে। আমি এর বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এরশাদের মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটা নিজেই শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। আমি তখন ওই বাড়ির রান্না ঘরের পাশে ছিলাম।
শালিসি বৈঠকের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় যাচ্ছি। সন্ধ্যায় সব বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ. কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, আগুনে পুড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করে নাই।
আরিফ উর রহমান টগর/জেডএইচ/