পাখিদের কলকাকলিতে মুখর ‘অরুণিমা’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২২
পাখিদের কলকাকলিতে মুখর অরুণিমা রিসোর্টসহ আশপাশের এলাকা

দেশী-বিদেশী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত নড়াইলের নড়াগাতী উপজেলার পানিপাড়া এলাকার অরুণিমা রিসোর্টসহ আশপাশের গ্রামগুলো। প্রতিদিনই এসব পাখি দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার পর্যটক।

স্থানীয়রা জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের পাখিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে বিদেশি পাখিরা। সকালে হাজার হাজার পাখি অরুনিমা ছেড়ে গেলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আবার ফিরে আসে। পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকায়। অরুণিমার প্রায় ৫২ একর এলাকা যেনো পাখিদের অভয়ারণ্য।

সাতক্ষীরা থেকে আসা জলিল নামের এক পর্যটক বলেন, ‘প্রকৃতির মাঝে আনন্দ উপভোগের অন্যতম স্থান হচ্ছে অরুনিমা। প্রকৃতির সব সৌন্দর্যই এখানে আছে।’

jagonews24

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক সোনিয়া বলেন, ‘অরুণিমা রিসোর্ট হচ্ছে একের ভেতর শত অনুসঙ্গের সমাহার। পাখি ও প্রকৃতির টানে অরুণিমায় এসেছি। দ্বিতীয়বার আসা হলো এখানে।’

মনিরা নামের আরেক পর্যটক বলেন, ‘অনেক জায়গায় পাখি দেখার সুযোগ পেয়েছি। এক্ষেত্রে পর্যটকদের সঙ্গে অরুণিমার পাখিগুলোর সখ্যতা বেশি। এখানে অনেক মানুষের আনাগোনাসহ কাছ থেকে ছবি তোলা হলেও পাখিগুলো ভয়ে দিক-বেদিক ছোটাছুটি করে না।’

অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরফান আহমেদ বলেন, ‘অভয়াশ্রম হিসেবে এক যুগ ধরে দেশি-বিদেশি হরেক রকম পাখির বিচরণ এখানে। বিশেষ করে অতিথি পাখির সঙ্গে বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির মিতালি দেখার মতো। অরুণিমাসহ আশপাশের মায়াবি পরিবেশ পাখির নিরাপদ আবাসস্থল।’

jagonews24

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নয়মাস ধরে অতিথি পাখিসহ সারাবছর দেশি পাখির আনাগোনা থাকে এখানে। পাখিদের নিরাপদ অভয়াশ্রম খ্যাত অরুণিমার সৌন্দর্য ও ঐহিত্য ধরে রাখতে গ্রামবাসীসহ রিসোট কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবে পাখি দেখতে যে পরিমাণ দেশি-বিদেশী পর্যটক আসেন সেটা সত্যিই বিস্ময়কর। সরকার পর্যটন শিল্পকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।’

হাফিজুল নিলু/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।