প্রার্থীকে জেতাতে ৫ লাখ টাকা দাবি নির্বাচন কর্মকর্তার, অডিও ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৮:২৭ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
অভিযুক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান ও প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (বাঁ থেকে)

সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় এক মেম্বার প্রার্থীকে জেতাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গোপন চুক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। অডিওতে ওই প্রার্থীকে জেতাতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঁচ লাখ টাকা চাইতে শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

অভিযুক্ত মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নাম আব্দুল হান্নান। উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।

রফিকুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ভোটযুদ্ধে সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে রফিকুলকে জয়ী করতে ভোটকেন্দ্র থেকে প্রতিপক্ষের লোকজনকে বের করে দেওয়া এবং ভোটের আগেই অন্তত ৩০০ ব্যালট পেপার সরবরাহের চুক্তি করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান।

ফাঁস হওয়া ১৩ মিনিটের ওই অডিওতে শোনা যায়, আব্দুল হান্নান ওই ইউপি মেম্বার প্রার্থীকে বোঝাচ্ছেন নির্বাচন করতে গেলে প্রতিদিনই ১০ হাজার করে টাকা ব্যয় হবে। তাতে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। সেটি করলেও তাতে নির্বাচিত হওয়ার কোনো গ্যারান্টি নেই। বরং তার সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তি করলে তিনি যেভাবেই হোক তাকে জিতিয়ে দেবেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সহযোগিতায় রফিকুলকে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আব্দুল হান্নান।

মেম্বার পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এলাকার একজন শিক্ষকের মাধ্যমে দুই দফায় ওই নির্বাচন কর্মকর্তাকে তিনি সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। তবে অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রফিকুল ইসলাম।

তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, একটি পক্ষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে তার বিরুদ্ধে এসব অডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ করেননি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টার কারণে রফিকুলকে প্রধান আসামি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ওই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জিতু কবীর/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।