ডোমারে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
পালস হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ডোমার, নীলফামারী। ছবি-জাগো নিউজ

নীলফামারীর ডোমারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডোমার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত পালস হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শীতজনিত রোগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। রাতেই ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নবজাতকের স্বজনরা জানান, গত ৩১ জানুয়ারি রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিলাইপাড়া এলাকার চাঁদ মিয়ার স্ত্রী তানজিনা বেগমের (২৮) প্রসব বেদনা উঠলে তাকে পালস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওইদিন রাতেই অস্ত্রোপচারে তিনি একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। তবে ওজন কম থাকায় শিশুটিকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। তবে এরপর থেকে শিশুটিকে আর কোনো চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়নি বলে দাবি স্বজনদের।

শিশুটির চাচা মজিবুল হক অভিযোগ করে বলেন, শিশুটির অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আমরা হাসপাতালের ম্যানেজার ও নার্সকে বিষয়টি জানাই। তবে তারা চিকিৎসা না দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন। আমরা উপায় না পেয়ে শিশুটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, দুই ঘণ্টা আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে শিশুমৃত্যুর সংবাদটি পরিবারের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা হাসপাতালে এসে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণ জানতে চান। এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়।

শিশুটির মা তানজিনা বেগম বলেন, ‘আমি কেঁদে কেঁদে তাদের বলেছি, আমার সন্তানকে চিকিৎসা দিন। কিন্তু তারা আমার কোনো শোনেননি।’

হাসপাতালে চিকিৎসক থাকে না বলে অভিযোগ করেন তানজিনার দেবর দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটি বেসরকারি হাসপাতাল হলেও এখানে চিকিৎসক থাকে না। চিকিৎসক থাকলে আমাদের বাচ্চাটি মারা যেতো না।’

জানতে চাইলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ডা. একরামুল হক বলেন, অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। শুক্রবার শীতজনিত রোগ দেখা দিলে আমরা শিশুটিকে অন্যত্র চিকিৎসা করাতে বলি। এসময় রোগী দেখায় চিকিৎসকরা অবহেলা করেন না বলেও দাবি করেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।