লোকে লোকারণ্য জয়পুরহাট শিশু উদ্যান
ঈদের তৃতীয় দিনেও জয়পুরহাটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ভ্রমণপ্রিয়দের পদচারণায় মুখর জেলা সদরের শিশু উদ্যান ও হাউজিং এস্টেট পার্ক, পাঁচবিবি উপজেলার লোকমা জমিদার বাড়ি, পাথরঘাটায় নিমাই সন্ন্যাসের প্রাচীন কীর্তি, কালাই উপজেলার ঐতিহাসিক নান্দাইল দীঘি এবং ক্ষেতলাল উপজেলার প্রাচীন আচরাঙ্গা দিঘিসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থান।
জয়পুরহাট জেলায় সরকারিভাবে কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকলেও একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিশু উদ্যান অবস্থিত জেলা শহরের বুলুপাড়া এলাকায়। শিশু উদ্যানটির নামকরণ শিশুদের নিয়ে হলেও এখানে সুস্থ ধারার শিক্ষামূলক বিনোদন উপভোগ করতে আসেন শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী মানুষ। ঈদ, পূজা, বড় দিনসহ সব ধর্মের নানা উৎসব ঘিরে জমে ওঠে বিনোদন কেন্দ্রটি। এবারের ঈদেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন হাজারো বিনোদনপ্রেমী।

ঈদ উৎসবে যোগ দিতে শিশু-কিশোরসহ জয়পুরহাটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ। প্রচন্ড খড়-তাপ আর থেমে থেমে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈদের ছুটি কাটাতে দর্শনার্থীদের বাঁধ ভাঙ্গা ভীরে এখন প্রকম্পিত হচ্ছে জয়পুরহাটের বিনোদনকেন্দ্রগুলো। দর্শনার্থীদের আনন্দ অনুভুতিই জানান দেয় কতটা মহাসুখে ঈদের সময়গুলো পার করছেন তারা।
শিশু উদ্যানে আসা রাকিন, আবসার নিরব, নওশি, শাফিন আহম্মেদসহ কয়েকজন শিশু তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলে, ‘ঈদ উপলক্ষে শিশু উদ্যানে এসেছি। বিভিন্ন রাইডে চড়েছি, খুব মজা করলাম।’

শিশুদের নিয়ে পার্কে ঘুরতে আসা বগুড়ার রুহুল আমিন, নওগাঁর বুলবুল হোসেন ও পাঁচবিবি উপজেলার এম এ আজিজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে বাচ্চাদের পার্কে নিয়ে এসেছি। অন্য দিনগুলোতে সময় পাওয়া যায় না। ঈদের সময় ছুটি থাকে। সেজন্য এ সময়টাকে কাজে লাগানো যায়। বাচ্চারা খুব মজা করছে।’
জয়পুরহাট শিশু উদ্যানের ব্যবস্থাপক আপেল মাহমুদ বলেন, দর্শনার্থীদের পছন্দ ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ভ্রমণপ্রিয়রা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাঘুরি করতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কয়েক স্তরে সাজিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম জানান, ঈদ উৎসবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেকপোস্ট বসানোসহ সব ধরনের নিতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
রাশেদুজ্জামান/এসআর/জিকেএস