চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিপক্ব হলেই পাড়া যাবে আম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:২৯ পিএম, ১৬ মে ২০২২
চলতি মাসেই বিক্রির উপযোগী হবে গোপালভোগ, হিমসাগরসহ কয়েকজাতের গুটি আম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমপাড়া বা বাজারজাতকরণে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেনি কৃষিবিভাগ। ফলে পরিপক্ব হলেই বাজারে আম বিক্রি করা যাবে। তবে চলতি মাসেই আম পাড়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। তাই আম বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে আড়তগুলো।

এদিকে গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার আম গাছে মুকুল কম এসেছিল। এতে ফলনও তুলনামূলক কম হয়েছে। এতে জেলায় আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রাও কমেছে। তাই লোকসান হওয়ার শঙ্কায় আছেন আমচাষি ও বাগান মালিকরা।

জেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের আমচাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পাঁচ বিঘা আমের বাগানে পরিপক্ব হতে যাচ্ছে গোপালভোগ, হিমসাগর (ক্ষিরসাপাত) ও বিভিন্ন গুটি জাতের আম। এ মাসের শেষ দিকেই বিক্রির জন্য আম পাড়া শুরু করবো।’

jagonews24

তবে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত বছর আমার বাগানে মুকুল ভালো আসায় ফলনও ভালো হয়িছিল। কিন্তু দাম কম থাকায় তেমন লাভবান হতে পারিনি। আর এ বছর গাছে মুকুলই কম এসেছে। আমও অনেক কম ধরেছে। তবুও আশা করছি, যদি দাম ভালো হয় কিছু টাকা পাবো। তবে যতই বেশি দাম হোক না কেন, গত বছরের তুলনায় বেশি টাকা পাওয়া সম্ভব নয়।’

শিবগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া এলাকার সুজা আলী বলেন, ‘১০-১২ দিন পরই আমার বাগানের লক্ষণভোগ ও ক্ষিরসাপাতসহ বেশকিছু গুটি জাতের আম বিক্রির উপযোগী হবে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে ল্যাংড়া ও শেষের দিকে ফজলী আম বিক্রির উপযোগী হবে। তবে এ বছর সব আমের গাছেই মুকুল কম এসেছিল। ফলে ফলনও দেখা দিয়েছে কম। তাই দাম নিয়েও চিন্তায় আছি।’

jagonews24

শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার প্রায় প্রতিটি গাছে মুকুল কম এসেছিল। তাই আমের উৎপাদন কম হবে। যদিও এবার আম পাড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি প্রশাসন। এতে আমরা লাভবান হবো। আম পাকলেই বাজার ও আড়তে বিক্রি করতে পারবো। চলতি মাসের শেষ দিকে বেশকিছু গুটি জাতের আম পাকবে।’

আম পাড়ার বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গাছে মুকুল কম এসেছিল। ফলে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমেছে। গত বছর ৩ লাখ ২৫ হাজার টন আম উৎপাদনের নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এবার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টন। যা দামের হিসেবে প্রায় ১২৬০ কোটি টাকা। এ বছর আম পাড়ার কোনো সময়সীমা নির্ধারণ হয়নি। আম পাকলেই চাষিরা বাজারজাত করতে পারবেন।

সোহান মাহমুদ/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।