বিচারকের কক্ষে সন্তান কোলে নিয়ে বিয়ে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ১৬ জুন ২০২২

পারিবারিক কলহে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাদিম-শীউলি দম্পতির। সেই বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আদালতের শরণাপন্ন হয় মেয়েটির পরিবার। এ নিয়ে স্বামী নাদিমকে কারাগারে পাঠান আদালত। গত ১০ দিন জেলহাজতেই ছিলেন তিনি। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ফের ৮ মাসের বাচ্চা কোলে নিয়ে বিয়ে হলো তাদের।

ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ন কবীরের কক্ষে। বুধবার (১৫ জুন) বিকেলে দুই পরিবারের সম্মতিতে এ বিয়ের আয়োজন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ন কবীর।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দুই পরিবারের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিকভাবেই বিয়ে হয়েছিল জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা গ্রামের মৃত এনামুল হকের ছেলে মো. নাদিম আলী (২৭) ও একই উপজেলার রাজারামপুর উপরটোলা গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে শিউলী খাতুনের (১৯)। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি হওয়ায় সাত মাসের গর্ভাবস্থায় তাদের বিচ্ছেদ হয়।

jagonews24

তবে নাদিম আলীর বলছেন, শীউলি গর্ভবতী ছিলেন সে কথা বিচ্ছেদের সময় আমাদেরকে জানানো হয়নি। আজ আদালত দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। বাচ্চার কথা ভেবে আদালতের এই সিদ্ধান্তে দুই পরিবারই খুশি।

আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিধি অনুযায়ী সন্তান গর্ভে থাকলে তালাক হয় না। কিন্তু এখানে তা করা হয়েছিল। পরে মেয়ের পরিবার আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালতের হস্তক্ষেপে তাদের পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়েছে। এ বিয়েতে পঞ্চাশ হাজার ৫শ টাকা দেনমোহরে ধার্য করা হয়।

দুই পরিবার ছাড়াও বাদী ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সোহান মাহমুদ/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।