সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, ধারণা বনবিভাগের

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২২

বিশ্বের ১৩টি দেশে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস। বাঘের অন্যতম আবাসস্থল সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন এলাকায়ও দিবসটি পালন করছে বনবিভাগসহ নানা সংগঠন। তবে বিশ্ব বাঘ দিবসে বাঘপ্রেমীদের আশার আলো দেখাচ্ছে বনবিভাগ।

বনবিভাগের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বলছে, সুন্দরবনে এবারের গণনায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপ/গণনায় বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। চলতি বছরের অক্টোবরে নতুন করে আবারও শুরু হবে বাঘ গণনার কাজ।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বাগেরহাট) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ২০০১ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪৬টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে স্বাভাবিক (বয়স্কজনিত রোগ) মৃত্যু হয়েছে ৮টি বাঘের। চোরা শিকারি ও দুষ্কৃতকারীদের হাতে ১৩টি ও লোকালয়ে এসে মানুষের আক্রমণ মৃত্যু হয়েছে পাঁচটি বাঘের। ২০০৯ সালে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে মৃত্যু হয়েছে একটি বাঘের। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দুষ্কৃতকারীসহ ১৯টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।

বনবিভাগের হিসাব অনুযায়ী সর্বশেষ ২০১৮ সালের জরিপের পরে অন্তত আটটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। তখন বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। কিন্তু কী পরিমাণ বাঘের সংখ্যা বেড়েছে তার সঠিক তথ্য নেই বনবিভাগের কাছে।

jagonews24

বর্তমানে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ রয়েছে। তারপরও বনবিভাগ, বাঘ সংরক্ষণ ও সুন্দরবন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আগের তুলনায় বনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে।

চলতি বছরের ১২ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ছিটা-ককটা খালে একসঙ্গে চারটি বাঘের দেখা পেয়েছিলেন পর্যটকরা। এর কয়েকদিন আগে ককটা খালে একসঙ্গে আরও তিনটি বাঘ দেখেতে পান দর্শনার্থী ও বনবিভাগ।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বনবিভাগ দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা সুন্দরবনে টহল জোরদার করেছি। ফলে আগের তুলনায় সুন্দরবনে চোরা শিকারিদের অপতৎপরতা অনেকাংশেই কমে গেছে। পাশাপাশি করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। সেইসঙ্গে মাছের প্রজনন মৌসুম চলায় বনে বর্তমানে জেলে ও পর্যটক প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ প্রজনন মৌসুম চলবে। ফলে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি নিজেদের মতো করে বেড়ে উঠেছে। নীরবতার এ সময়ে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণীর বিচরণ ও প্রজনন নির্বিঘ্ন হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও প্রজনন মৌসুমের দীর্ঘসময় বনে নীরবতা থাকায় সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় বাঘ ও বাঘের বাচ্চা দেখেছেন বনরক্ষী, স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীরা। এসব কারণে আমরা মনে করছি সুন্দরবনে এবারের গণনায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবরে বাঘ গণনার কাজ শুরু হবে।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।