শাম্মী হত্যায় মামলা, স্বামীসহ গ্রেফতার ২
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শাম্মী আক্তার (৩৯) নামে এক বিউটিশিয়ান নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহতের ছেলে সাইম আলম (১৭) বাদী হয়ে মামি ও সৎ বাবাকে আসামি করে সোমবার (৮ আগস্ট) রাতে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় নিহত শাম্মীর ভাইয়ের স্ত্রী আয়শা খানম রাজি ও শাম্মী আক্তারের বর্তমান স্বামী সিরাজুল সালেকিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, শাম্মী আক্তার কে এম লতীফ সুপার মার্কেটে ১০ বছর ধরে পার্লারের ব্যবসা করে আসছিলেন। তার পার্লারের নাম ‘শাম্মী বিউটি পার্লার’। প্রথম স্বামী ফিরাজ আলমের সঙ্গে প্রায় ১৩ বছর আগে বিচ্ছেদ হওয়ার পর সেই সংসারের দুই সন্তান নিয়ে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি।

এজাহারে বলা হয়, দুই বছর আগে বিয়ে হওয়া দ্বিতীয় স্বামী সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। গত রোববার (৭ আগস্ট) বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে বাসায় আসেন তিনি। এদিন আয়শা খানমও ওই বাসায় আসেন। রাতে শাম্মী আক্তার স্বামী সালেকিনকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরেন। আর তার ভাবি আয়েশা খানম মাঝ ঘরে ঘুমান। কিন্তু শাম্মী আক্তার গভীর রাতে তার স্বামী ও আয়েশাকে বিছানায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরেন। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্বামী সালেকিন আয়শা খানমের সহযোগিতায় মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে শাম্মীকে হত্যা করেন।

শাম্মীর ছেলে সাইম আলম বলেন, হত্যার দায় এড়াতে পরের দিন সকালে সালেকিন ও আয়শা মিলে তার মায়ের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তারা হত্যার ঘটনাকে হার্ট অ্যাটাক বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, ঘটনার পরই সালেকিন ও আয়শা খানমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে হত্যা মামলায় তাদের দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যায় ব্যবহৃত বালিশটি জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শাফিউল মিল্লাত/জেডএইচ