প্রেমিকের বিয়ের আগের রাতে প্রেমিকার বিষপান
শরীয়তপুরে বিষপানে এক কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে কিশোরীর পরিবারের দাবি, প্রেমিক তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের শেখপুরাকান্দি গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে কিশোরীর পরিবার। সেখানে এ অভিযোগ করা হয়।
এ সময় কিশোরীর মা আমেনা বেগম, বাবা নিজাম খান, মামা বোরহান উদ্দিন মাদবর, সামাদ মাদবর, মামাতো বোন সাদিয়া আক্তার, সামিয়া আক্তার, মামি ফরিদা বেগম, সাহানাজ বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওই কিশোরীর নাম নুসরাত জাহান (১৫)। সে নড়িয়া উপজেলার জপসার লক্ষ্মীপুর গ্রামের নিজাম খানের মেয়ে। সে নড়িয়া মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১০ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর কাঠপট্টি গৌড়াইল এলাকার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদার (২৪) এলাকায় বখাটে বলে পরিচিত। স্কুলে যাওয়ার পথে তিনি নুসরাত জাহানকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে নুসরাতকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে প্রেম করাতে বাধ্য করান। তাদের এ সম্পর্ক চলতে থাকে।
কিন্তু নুসরাতকে বিয়ে না করে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার এক মেয়েকে বিয়ে করেন আল আমিন। তার আগেরদিন রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে বিষপান করে নুসরাত। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন রাত ৩টার দিকে নুসরাত মারা যায়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার নুসরাতের মামা বোরহান উদ্দিন মাদবর বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় আল আমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তাদের দাবি, নুসরাতকে বিয়ে না করে মানসিক চাপ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন আল আমিন।
তবে আল আমিনের বাবা দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে নুসরাতের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানার পরে নুসরাতের বাড়িতে আমি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাই। কিন্তু তারা রাজি হননি। তাই ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে করাই। পরে শুনি নুসরাত মারা গেছে। আমার ছেলের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা মামলা করেছে। আমার ছেলে নির্দোষ।’
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামি আল আমিন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মো. ছগির হোসেন/এসআর/এএসএম