‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় জিয়াউর রহমান আলাদা টিম গঠন করেছিলেন’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ২৪ আগস্ট ২০২২

১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর ভেতরে আলাদা গ্রুপ করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য টিম গঠন করেছিলেন। তদন্তে এ বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭২, ১৯৭৩ এবং ১৯৭৪ সালে মেজর ফারুক ও মেজর রশিদ মার্কিন হাইকমিশনে অস্ত্র কিনতে গিয়েছিলেন এবং এর নেতৃত্বে ছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। মার্কিনদের বেতার বার্তায় এসব তথ্যের প্রমাণ রয়েছে।

‘শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার খুনিদেরকে রক্ষায় মোস্তাক ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে এবং পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর এটির বৈধতা দেন। এ থেকে এটা নিশ্চিত যে, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।’

মন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, জিয়াউর রহমানের ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ছেলে তারেক রহমান পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলেন। এমনকি জিয়াউর রহমানের মতোই খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এটা হতে দেননি। তিনি সকল অপরাধীদের বিচার করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি দল কিংবা মত দেখেননি।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান পরিপন্থী কোনো সরকার কিংবা নির্বাচন কোনোভাবেই বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। সংবিধান কিংবা আইনে যেটা নেই সেটা শেখ হাসিনা কোনোদিন করবেন না।

মন্ত্রী বলেন, আমরা অনির্বাচিত সরকার দেখেছি। তারা কী কাজ করেন আমরা তা দেখেছি। এছাড়া সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট চন্ডিচরণ পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।