১৮ দিনে গড়ালো চা শ্রমিকদের আন্দোলন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৪২ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২২

১৮তম দিনে গড়িয়েছে চা শ্রমিকদের আন্দোলন। এখনো পর্যন্ত দাবিতে অনড় রয়েছেন হবিগঞ্জের বাগানগুলোর চা শ্রমিকরা। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে তারা টানা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলন চাঙ্গা করতে নতুন নতুন পরিকল্পনাও গ্রহণ করছেন শ্রমিকরা। এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চা শ্রমিক পরিবারের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, বাইরে থেকে শ্রমিকদের ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্রমিকরা। আবার অনেকে বলছেন, আন্দোলন যত লম্বা হবে ততই বিভিন্ন মহল সুযোগ নিতে চাইবে। এতে শ্রমিকরাও বিপথগামী হতে পারেন।

চা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা কাঞ্চন পাত্র জানান, চা শ্রমিকদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিভিন্ন সংগঠন আসতে শুরু করেছে। আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধান করবেন। যদি দেরি হয় তবে আমার ধারণা চা শ্রমিকরা বিপথগামী হতে পারেন।

তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আশা করা যায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। তিনি আমাদের অভিভাবক। আমাদের মা। তিনি নিশ্চয়ই একটি সমাধান দেবেন।

চান্দপুর চা বাগানের শ্রমিক নেতা সাধন সাঁওতাল বলেন, আমরা আন্দোলন করছি পেটের তাগিদে। অনেকেই আমাদের সঙ্গে শুভাকাঙ্ক্ষি হিসেবে আসছেন। আমরা কোনো রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতি করিও না। কিন্তু যারা আসছেন তারা আমাদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করার জন্য আসছেন। তারা বাইরে থেকেই আন্দোলন করছেন। বাগানে কেউ এসে আন্দোলনে যুক্ত হননি।

চা শ্রমিক নেত্রী খায়রুন আক্তার বলেন, চা শ্রমিকদের সঙ্গে আন্দোলনে সংহতি জানানোর জন্য অনেকেই আসছেন। অনেকেই অনেক জায়গা থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আমি মনে করি না যে চা বাগানের মানুষেরা বিভ্রান্ত হবে।

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ৪ দিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত শনিবারের বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। পরবর্তী সময়ে শ্রমিকরা এ মজুরি মানেন না জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন। কয়েক দফা বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত সোমবার তাদের একাংশ কাজে যোগ দিলেও মঙ্গলবার ফের তারা আন্দোলন শুরু করেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।