৫ শিক্ষকের নামে ঋণ তুলে হাওয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পাঁচ শিক্ষকের নামে সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) থেকে ৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সেটি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই পাঁচ শিক্ষক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।
উপজেলার দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বপ্না রানী রায় বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর আমার বেতন আসে। কিন্তু সে বেতন থেকে ১৩ হাজার ২০০ টাকা কর্তন করা হয়েছে। পরে ট্রেজারি অফিসে গিয়ে দেখি আমার জিপিএফ ফান্ড থেকে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। কে বা কারা ঋণ নিয়েছে সেটি আমি জানি না।
একই অভিযোগ সহকারী শিক্ষক রহিমা বেগম, শামছুন্নাহার বেগম, মাসুদা বেগম ও আতাউর রহমানের। তাদের নামের বিভিন্ন অংকের ঋণ তোলা হয়েছে।

অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, আমাদের জিপিএফ হিসাব নম্বর থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম হারুন উর রশিদ স্বাক্ষরিত জিপিএফ ঋণ আমাদের না জানিয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু বক্কর সিদ্দিক উত্তোলন করেন। এর মধ্যে স্বপ্না রানী রায়ের নামে দুই লাখ ৬৪ হাজার টাকা, রহিমা বেগমের নামে দুই লাখ ৫৯ হাজার টাকা, আতাউর রহমানের নামে ৭০ হাজার টাকা, শামছুন্নাহার বেগমের নামে ৭০ হাজার টাকা ও মাসুদা বেগমের নামে এক লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়।
এ বিষয়ে শামছুন্নাহার বেগম বলেন, জিপিএফ ফান্ডে কত টাকা জমেছে দেখতে গিয়ে আমার নামে ৭০ হাজার টাকা ঋণ দেখতে পাই। কে করছে তা জানি না।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু বক্কর সিদ্দিককে অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ কেএম হারুন উর রশিদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই দিনের ছুটি চেয়ে একটি দরখাস্ত টেবিলে রেখে সে চলে গেছে। তবে তার ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি।
আরএইচ/এএসএম