প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করায় ঠিকাদারসহ আটক ৪

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২২

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এসময় ওই ঠিকাদার ও তার লোকজন প্রকৌশলীর অফিস কক্ষও ভাঙচুর করেন। পরে এ ঘটনায় ঠিকাদারসহ চারজনকে আটক করে পুলিশে দেন ইউএনও।

রোববার (২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী শমেশ আলীকে মারধর করেন ঠিকাদার এস এম আলমগীর হোসেন ও তার লোকজন। পরে আহত অবস্থায় তাকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আহত প্রকৌশলী শমেশ আলী বলেন, তাসলিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার আলমগীর হোসেন তার কাজের যাবতীয় টাকা ও কাগজপত্র তুলে নিয়ে গেছেন। কিন্তু অবৈধভাবে মেজারমেন্ট বুক (এমবি) চান তিনি। আমি দিতে দেরি করায় আলমগীর হোসেন আমাকে জুতাপেটা করে এবং তার লোকজন আমাকে এলোপাতাড়ি ঘুষি, লাথি, থাপ্পড় মেরে আহত করে। পরে কোনোরকমে দৌড়ে কোয়াটারে আশ্রয় নিই। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসে আমাকে উদ্ধার করেন। আমি এই হামলার বিচার চাই।

অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিষ্ঠানের এমবি আটকে রেখেছে প্রকৌশলী শমেশ। ৬০ হাজার টাকা ঘুস না দিলে তিনি দেবেন না বলে জানান। এ বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আমার তর্কবিতর্ক হয়। আমরা তাকে মারধর করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন তিনি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রকৌশলী শমেশ আলীকে মারধরের ঘটনায় আলমগীর হোসেনসহ চারজনকে আটক করি। পরে তাদের পুলিশে দিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহালুল খান বাহার বলেন, প্রকৌশলী শমেশ আলীকে মারধরের ঘটনায় এস এম আলমগীর হোসেন, আলমগীর মাতব্বর, শফিকুর রহমান ও চুন্নু নামে চারজনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

মো. ছগির হোসেন/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।