পাহাড়ে চলছে কঠিন চীবর দানোৎসব
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাস অধিষ্ঠান শেষে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে কঠিন চীবর দানোৎসব। জেলার বিভিন্ন বিহারে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা চলছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) প্রবারণা পূর্ণিমা শেষে রাঙ্গামাটিতে বর্ণিল আয়োজনে শুরু হওয়া এ দানোৎসব শেষ হবে ৭ নভেম্বর যমচুগ বনাশ্রম বনভাবনা কেন্দ্রে চীবর দানের মধ্য দিয়ে।

এবার সর্বপ্রথম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে নানিয়ারচর উপজেলা বুড়িঘাট ইউনিয়নের গর্জনতলী পাড়া শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহারে। প্রতিটি বিহারে দুদিনব্যাপী চলে এ উৎসব। এ উপলক্ষে বিহারে দিনব্যাপী নানান ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করা হয়।
উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দান, কঠিন চীবর দান, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দান, আকাশ প্রদীপ উৎসর্গ ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহসহ নানা দান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ঢোলের তালে তালে নেচে চীবর ও কল্পতরুকে প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করেন পুণ্যার্থীরা। পরে পঞ্চশীল, উৎসর্গ, নানাবিধ দান ও বিশ্বে শান্তি মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা পাঠ হয়। এ সময় বিহারের ভিক্ষুককে বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠ দান কঠিন চীবর উৎসর্গ করেন পূর্ণাথীরা।

দানোৎসবে বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্ম দেশনা দেওয়া হয়। গৌতম বুদ্ধের বলে যাওয়া নানান বাণী এবং দিকনির্দেশনাও শোনানো হয়।
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি নিরূপা দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন পর আমাদের এবার কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব প্রস্তুতি চলছে। পাহাড়ের বিভিন্ন বিহারে দানোৎসব শুরু হলেও আমাদের রাজবন বিহারে অনুষ্ঠিত হবে ৩ ও ৪ নভেম্বর। এতে সারাদেশসহ বিদেশ থেকে আগত পূর্ণাথীরা অংশ নেবেন।
সাইফুল উদ্দীন/এসজে/জিকেএস