ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে পদ্মাপাড়ে ‘বাউল গানের আসর’
মা ইলিশ রক্ষায় দেশের সাগর ও নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ সময় জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে এবং সচেতনতা বাড়াতে শরীয়তপুরের জাজিরায় ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
পদ্মা নদী বেষ্টিত ও আশপাশের ইউনিয়নগুলোতে জেলেপাড়ায় রাতে বাউলগানের আসর বসানো হচ্ছে। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল এ উদ্যোগ নিয়েছেন।
এদিকে বাউলগানের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে এ উদ্যোগ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতেও বাবুরচর এলাকায় বাউলগানের আয়োজন করা হয়েছে।
ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সারা দিনরাত পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালাচ্ছি। জেলেদের আটক করে জেল-জরিমানা করছি। এছাড়া প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। তবুও কিছু অসাধু জেলে নদীতে জাল ফেলে মাছে ধরার চেষ্টা করছে। তাই মা ইলিশ রক্ষায় ব্যতিক্রম উদ্যোগ রাতে জেলেদের নিয়ে বাউলগানের আসরের আয়োজন করা হয়েছে। জেলেরা যেন নদীতে জাল ফেলে মাছ না ধরে, তাও বলা হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। ৭ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় ২৯টি মোবাইল কোর্ট ও ৭৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ১৪২ জন জেলে আটক করা হয়েছে। তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৮২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইলিশ জব্দ করা হয়েছে এক হাজার ৩৫ কেজি। ৩৩ লাখ ৩৬৯ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৬ লাখ ৩ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ২৫ হাজার ৫৮ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। এদের মধ্যে ১৯ হাজার জেলেকে ৪৭৫ টন চাল দেওয়া হচ্ছে। প্রতি জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
মো. ছগির হোসেন/এসজে/জিকেএস