সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, সাবেক স্বামীসহ কারাগারে ৪

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২২
পুলিশের হাতে গ্রেফতার মামলার ৪ আসামি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হত্যার অভিযোগে তার সাবেক স্বামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত সোনিয়া আক্তার উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে ও বাটিকামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুলপাল গ্রামের লিপন মিয়ার ছেলে ও গৃহবধূর সাবেক স্বামী মাহিম (১৯), তার সহযোগী দৌলতপুর গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে মো. জয়নাল মিয়া (৪৫), মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে পল্লব হাসান (১৮) ও পঞ্চাশি গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে সাকিব হাসান (১৮)।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সাতদিন বয়সে সোনিয়াকে মামা ফিরোজ মিয়া দত্তক নেন। আটমাস আগে কুলপাল গ্রামের মাহিমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার ওপর নির্যাতন করতে থাকেন মাহিম। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কিছুদিন আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।

এদিকে বিয়ে ভেঙে গেলেও তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ চলতো। ২৫ অক্টোবর মাহিম সোনিয়াকে দৌলতপুর বন্ধু পল্লবের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার রাতভর কয়েকজন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

সোনিয়ার বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘মাহিমসহ তার বন্ধুরা ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মুখে বিষ দেয় তারা। মুমূর্ষু অবস্থায় তারাই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জাগো নিউজকে বলেন, ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারভুক্ত কিশোরীর সাবেক স্বামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।