ঝিনাই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০১:০১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২২

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ঝিনাই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে একরের পর একর ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে প্রায় দুইমাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা ও খাস কোম্পানি এলাকার মাঝামাঝি ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া ঝিনাই নদীতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিকার না পেয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধারাবর্ষা বাজার থেকে উত্তরদিকে ধারাবর্ষা ও খাস কোম্পানির মাঝামাঝি ভাটারা মৌজার পারপাড়া ঝিনাই নদীতে ড্রেজার মেশিনে প্রায় দুইমাস ধরে প্রকাশ্যে বালু বিক্রি চলছে। প্রতিদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এ কাজ। এতে একরের পর একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।

স্থানীয় কৃষক আলাল, ফারুক, আজগর, বাবলু, রফিকুলসহ অভিযোগকারীরা জানান, ধারাবর্ষা গ্রামের আজিজুল আকন্দের ছেলে ছানু মিয়া ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন এবং পারপাড়া গ্রামের আফসার মন্ডলের ছেলে করিম মেম্বার সেসব বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

পাশের সৈয়দপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক লালু মিয়া জানান, ড্রেজার মেশিনের পাশেই তাদের ছয় ভাইয়ের দেড় একর জমি রয়েছে। জমিগুলোতে বর্তমানে আলুসহ মওসুমি ফসল আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু বালু উত্তোলনের ফলে অধিকাংশ জমি নদীগর্ভে, বাকি জমিও হারানোর পথে।

কান্দারপাড়া গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া জানান, বালু উত্তোলনের ফলে তার ৭৮ শতক জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনকে হাত করে নদীখেকোরা অবৈধ বালু উত্তোলন করায় লিখিত অভিযোগের দুইমাস পার হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি শুনে আমি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, মেশিন বন্ধ রয়েছে।

জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবন্তী রায় মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে এখনি দেখছি।

মো. নাসিম উদ্দিন/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।