ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বন্ধ বাস, গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকাল থেকে চলছে না দূরপাল্লার বাস। এছাড়া আঞ্চলিক বাসও কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। দূরপাল্লার বাস না থাকায় অনেকে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। আবার কেউ মাইক্রোবাস কিংবা অ্যাম্বুলেন্সে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন।
তবে যাত্রীরা জানান, মাইক্রোবাসগুলো কয়েকগুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছে। বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়ায় গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে দূরপাল্লার টিকিট কাউন্টারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ কাউন্টারেই কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক নেই। শুনসান অবস্থা বিরাজ করছে।
বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা নাদিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ পড়ছি বিপদে। আরেক জনের চাকরি করি। এ পরিস্থিতিতে অফিসে না গেলেও বেতন কাটা যাবে। অফিসকে জানাইলাম সড়কে অনেক পুলিশ। গাড়ি নাই কীভাবে আসবো। এরপরও অফিস থেকে বলছে যেকোনো উপায়ে আসতে, নাহলে বেতন কেটে দেওয়া হবে।’
নারী গার্মেন্টসকর্মী রোকসানা আক্তার বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখনো কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। এখন কী করবো। পেটের দায়ে চাকরি বাঁচাতে হলে তো আমার জাওয়াই লাগবে। অফিস কী আমাগো গরিব মানুষের কথা বুঝবে। এমনিতেই দেরি হইয়া গেছে। হেঁটে যাইতে ৪৫ মিনিট সময় লাগবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মতলব এক্সপ্রেসের এক টিকিট বিক্রেতা জানান, সকাল থেকেই দূরপাল্লার টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ আছে। তবে কী কারণে বন্ধ তা আমি বলতে পারি না। যাত্রী না থাকায় আমাদেরও অর্ধেক বাস চলাচল বন্ধ আছে। কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা এখনো বলতে পারছি না।
শিমরাইল ক্যাম্পের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) এ কে এম শরফুদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যাত্রী কম থাকায় হয়তো যানবাহন কম। তবে কী কারণে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ আমার জানা নেই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে সড়কে গাড়ির চাপ কম। তাই অনেক মানুষ হেঁটেই যার যার কর্মস্থলে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে কোথাও যেতে বাধা দেইনি। সন্দেহ হলে আমরা তাকে তল্লাশি করে ছেড়ে দিচ্ছি।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এসজে/জেআইএম