৯৯৯-এ ফোন করে মা-ভাইকে উদ্ধার করলেন কলেজছাত্র

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
সদর উপজেলার মুরাসাতা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর

ঝালকাঠিতে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে অবরুদ্ধ মা ও ছোট ভাইকে উদ্ধার করেছে কলেজছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের মুরাসাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না। প্রাইভেট পড়তে বাসা থেকে বের হন তিনি। পড়া শেষে দাশের পোল নামক স্থানে আসলে বাজারের দোকানদারদের কাছ থেকে শুনতে পান তার মা রোজিনা বেগম (৪০) ও ছোট ভাই আবু ফয়সাল মুবিনকে (১২) অবরুদ্ধ করে মারধর করা হচ্ছে।

এখবর শুনে মুন্না ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চায়। খবর পেয়ে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রোজিনা বেগমকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। একই সঙ্গে আবু ফয়সাল মুবিনকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

কলেজছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্নার বাবা প্রবাসী মো. ফারুক হোসেনের বিল্ডিংয়ের ছাদ ও এক পাশের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রোজিনা বেগমকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ও আবু ফয়সাল মুবিনকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

কলেজছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না জানান, তার বাবা প্রবাসী মো. ফারুক হোসেন দুই বছর আগে নিজেদের জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করেন। প্রায় দেড় বছর ধরে পরিবারের সবাই ওই বিল্ডিং এ বসবাস করছেন। এতদিন পর হঠাৎ করে তার বাবার চাচাতো ভাই সোবাহান হাওলাদার গংরা দাবি করে ওই বিল্ডিংয়ের মধ্যে তাদের জমি রয়েছে। এমন দাবি তুলে অতর্কিতভাবে সোবাহান হাওলাদার, আমির হোসেন হাওলাদার, রহিম হোসেন, সোহেল হাওলাদার, সাদ্দাম হাওলাদার, শাহজাহান হাওলাদার, সোহান হাওলাদার, মিম আক্তার, রিনা বেগম, আমেনা বেগম, মাহামুদা বেগমসহ আরও ২৫ থেকে ৩০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে বিল্ডিংয়ের ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে ফেলে। এসময় নগদ দুই লাখ ১০ হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের সোনার গহনা নিয়ে যায় তারা। বিল্ডিং ভাঙচুর, নগদ টাকা ও সোনা নেওয়ায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

অভিযুক্তদের মধ্যে সোহেল হাওলাদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের জায়গায় জোর করে বিল্ডিং করেছে তাই আমরা ভেঙে ফেলেছি। তবে আমরা কাউকে অবরুদ্ধ করে মারধর করিনি।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, এজাহার দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আতিকুর রহমান/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।