আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে কাঁচা ধান কাটলেন প্রতিপক্ষের লোকজন
ঝালকাঠির রাজাপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে কাঁচা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ গিয়ে ধান কাটা বন্ধ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া মৌজায় এক একর ২৬ শতাংশ সম্পত্তির ৯৫ শতাংশতে রেকর্ড সংশোধনীর মামলা হয়। মামলার আদেশের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে রিট করেন আতিকুর রহমান।
আদালতে পাঁচ বছর মামলা চলমান থাকার পর চলতি বছরের ২৬ জুলাই উচ্চ আদালতের বিচারপতি কাশিফা হোসাইন ও ফাতিমা নাজিব এক আদেশ দেন। আদেশে ‘ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে খারিজকৃত মামলার আপিল বিভাগ চালু হলে সেখানে আপিল মামলা চালু করতে পারবে। এছাড়াও ওই জমিতে যে যেভাবে দখলে বিদ্যমান রয়েছেন সেখানে স্থিতি অবস্থা জারি করেন।
রিটকারী আতিকুর রহমান জানান, ১৯৯৬ সালে চারটি দাগ থেকে ৯৫ শতাংশ জমি জনৈক মিজানুর রহমানের কাছে দুটি দলিলমূলে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ২৬৬ নম্বর দাগ থেকে ১২৬ শতাংশ জমির ১৬ শতাংশ জমি দেওয়া হয়। ওই দাগ থেকে ৯৫ শতাংশ জমি কৌশলে গোপনীয়ভাবে রেকর্ড করিয়ে নেন তিনি। পরে জমির রেকর্ড অনুযায়ী ৯৫ শতাংশই নুরে আলম রাব্বানীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ঝালকাঠির যুগ্ম-জেলা জজ আদালতে দলিল বাতিল ও সুষ্ঠু বণ্টনের মামলা চলমান রয়েছে। ৩ জানুয়ারি বাদী পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
তিনি আরও জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে জমিতে চাষাবাদ, বীজ রোপণ, সার দেওয়া এবং জমির ধান সুরক্ষায় জাল দেওয়া হয়। বুধবার সকালে নুরে আলম রাব্বানী, নূরে আলম মল্লিক, মজিবর রহমান, সোহরাব হোসেন, বাদল মল্লিক, মাকিব মল্লিকসহ অর্ধশতাধিক লোক বিরোধীয় জমির বিপুল পরিমাণ কাঁচা ধান কেটে নেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নূরে আলম মল্লিক জানান, দলিলমূলে ওই জমির মালিক হওয়ায় আমরা ধান কেটে নিয়েছি।
রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ধান কাটা বন্ধ করে দেয়। ঘটনাস্থলে যে ধান পাওয়া গেছে তা স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সোবাহান হাওলাদার ও চৌকিদার ইউসুফ আলীর জিম্মায় রাখা হয়েছে। জমিতে যিনি চাষাবাদ করেছেন তিনি ওই জমির ধান পাবেন।
আতিকুর রহমান/আরএইচ/এএসএম
