যমুনা থেকে যুবলীগ নেতার বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে অভৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যমুনা নদীর বানিয়াজান বাঁধ এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
এতে বক্তব্য দেন- স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম পলাশ, ইয়াকুব আলী মাষ্টার, লিমন হোসেন, জুয়েল রানা, মিল্টন মিয়া ও নিতাই চন্দ্র। মানববন্ধনে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
এছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ২৬ ডিসেম্বর গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনসহ বানিয়াজান গ্রামের আমিনুল ইসলাম পলাশের সই করা একটি অভিযোগ বগুড়ার জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগের অনুলিপি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন ২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যমুনা নদীর চৌবেড় মৌজার বালু মহাল বার্ষিক ইজারা বন্দোবস্ত নেন। তিনি চৌবেড় মৌজা থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী শহড়াবাড়ি, শিমুলবাড়ি, বানিয়াজান ও কৈয়াগাড়ি মৌজা থেকেও একইভাবে বালু উত্তোলন করছে। ইজারা বহির্ভূত বালু উত্তোলনের ফলে যমুনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১৫০মিটার অংশ নদীতে ধসে গেছে। এছাড়া ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে আবাদি জমি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্পার ও বিভিন্ন অবকাঠামো।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, ‘ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছি না। যারা আগে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে তাদের বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি। এ কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানববন্ধন করেছে।’
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজে/এমএস