পুরোনো গাছের জাত পাল্টে নতুন স্বপ্ন দেখছেন আমচাষি আহসান

সোহান মাহমুদ সোহান মাহমুদ , চাঁপাইনবাবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৩

গাছ ভাড়া নিয়ে আম চাষ করে ও পুরোনো গাছের জাত পরিবর্তন করে এখন সফল চাষি আহসান হাবিব। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ম্যাংগো ফাউন্ডেশনেরও সদস্য সচিব। এরইমধ্যে জেলাজুড়ে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সোচ্চার রয়েছেন আমকেন্দ্রিক বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়েও।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে ৬৫টি আম গাছ ভাড়া নিয়ে আম ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। এখন সব মিলিয়ে ২০০ গাছের ভাড়াটিয়া তিনি। এছাড়াও তিনি তৈরি করেছেন ৭ বিঘা জমিতে বিদেশি প্রযুক্তির আলট্রা হাডেন সিটি আম বাগান।

jagonews24

আহসান হাবিব জাগো নিউজকে বলেন, শিবগঞ্জের পলাশ নামে এক আমচাষির পরামর্শে তিনি প্রথমে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন খাদ্যগুদামের পেছনে ২০১৭ সালে ৫ লাখ টাকায় সাত বিঘা জমিসহ ৬৫টি আম গাছ ভাড়া নেন। এরপর সেখানে গড়ে তোলেন ব্যানানা, গৌড়মতি, বারি-ফোর ও আম্রপালির আলট্রা হাডেন সিটি আম বাগান। ৬৫টি গাছ পরিচর্যা করে আমে ভালো ফলন পান। সেইসঙ্গে বড় হতে থাকে আলট্রা হাডেন সিটি আম বাগানটিও। ভাড়া করা আমগাছ এবং আলট্রা হাডেন সিটি আম বাগান থেকে লাভবান হওয়ায় তিন মাস আগে পাশের অপর একটি বাগানের প্রায় ১০০ গাছ ভাড়া নেন ১০ বছরের জন্য। প্রতি বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে হয় তাকে।

সেখানে গাছগুলোর জাত পরিবর্তন করে লাগানো হচ্ছে কাটিমন, গৌড়মতি এবং ব্যানানা জাতের আম। নতুন এ বাগান থেকে প্রথম বছর তিন লাখ, পরের বছরগুলোতে দেড়শ মণ আম বিক্রি করে ৮-৯ লাখ টাকা আয় করার আশা করছেন তিনি। সব মিলিয়ে খরচ বাদ দিয়ে ১২-১৩ লাখ টাকা বাৎসরিক আয় করবেন তিনি এমনটাই আশা তার।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমার গাছের আম শেষ হলো, আর এখন যে সকল বড় গাছে আম ধরে ন সেসব গাছের ডালপালা কেটে ফেলে জাত পরিবর্তন করছি। এতে অধিক আম ধরবে। ফলে লাভবান হবো।

শিবগঞ্জের শাহরিয়ার নামে এক বাগান মালিক বলেন, ২৫ বছরের তার একটি আম বাগান রয়েছে। গাছগুলো বড় এবং ঘন হওয়ায় আম ধরত না। দুই বছর আগে আহসান হাবিবের পরামর্শে তিনি অধিকাংশ গাছের জাত পরবর্তন করেন। এখন তার বাগানে আমও ধরছে দামও ভালো পাচ্ছেন।

jagonews24

ধোবড়া এলাকার বাগান মালিক আসাদুল্লাহ বলেন, তার বাগানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শ আম গাছ আছে। ছোট গাছগুলোতে আম ধরলেও বড় গাছগুলো ছিল আমশূন্য। পরে আহসান হাবিবের বাগান দেখে তিনিও আশ্বিনা ও ফজলি থেকে কাটিমন, গৌড়মতি ও ব্যানানা ম্যাংগো জাত পরিবর্তন করে ভালো ফলন পাচ্ছেন।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে আমচাষিরা সফল হচ্ছেন। জাত পরিবর্তন করে আম বাগান তৈরি করলে অধিক আমের ফলন হয়। আর আহসান হাবিব উপজেলায় এক ব্যতিক্রমী আম বাগান গড়ে তুলেছেন। তার বাগান সবাই দেখতে যায়।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।