আদালতে নেওয়ার পর অপহরণ মামলার আসামির মৃত্যু
সাতক্ষীরায় আদালতের নেওয়ার পর সোলায়মান সরদার (৮২) নামের অপহরণ মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্মৃতিভা দাস মৃত ঘোষণা করেন। সোলায়মান আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সনাতনকাটি গ্রামের বাসিন্দা।
অপহরণ মামলায় বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে দুই ছেলেসহ বৃদ্ধ সোলায়মান সরদারকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের গারদখানায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সোলায়মান। তাকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় চিনি মেশানো ২০ মণ মধু জব্দ
পিবিআই এর সাতক্ষীরার পুলিশ পরিদর্শক লস্কর জায়াদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, রিয়াদকে এলাকাবাসী আটকের পর শিল্পীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও মূলত একটি এফিডেফিড করে বিয়ে দেখানো হয়। এটি রিয়াদের পরিবারের পক্ষে জাল বলে আদালতে মামলা হয়। মামলায় কামরুল, সিরাজুল, শিল্পী খাতুনসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। তবে জালিয়াতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, গারদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি দুই ছেলের সহযোগিতা নিয়ে সোলায়মান সরদারকে দুপুর আড়াইটার দিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষকের ‘আত্মহত্যা’, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৬
সাতক্ষীরা জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. স্মৃতিভা দাস জাগো নিউজকে জানান, জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা মাত্রই তিনি মারা গেছেন। তবে কীভাবে মারা গেলেন সে সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এজন্য তিনি আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, কামরুল ও সিরাজুলকে দুই হাজার টাকা বন্ডে জামিন দিয়েছেন বিচারিক হাকিম মো. সালাহউদ্দিন। আদালতে হাসপাতালের মৃত্যু সনদ দেখানোর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোলায়মানের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হবে
আহসানুর রহমান রাজীব/এসজে/জেআইএম