পাহাড়ের দেশে পর্যটকদের মনে প্রশান্তি এনে দেয় ‘রাইন্যা টুগুণ’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ১০:০০ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

হ্রদ-পাহাড়ের জেলা রাঙ্গামাটি। শহর জীবনের কোলাহল ও যান্ত্রিকতা ভুলে প্রকৃতির মাঝে একটুখানি প্রশান্তির নিশ্বাস নিতে পর্যটকরা ছুটে আসেন এ পাহাড়ের জেলায়। পর্যটকদের আরও বেশি প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যেতে এবং কোলাহলমুক্ত পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে অন্যতম একটি জনপ্রিয় জায়গা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে রাঙ্গামাটির রাইন্যা টুগুণ ইকো রিসোর্ট।

ইট-পাথরের শহর থেকে আসা পর্যটকদের হ্রদের ধারে পাহাড়ি দ্বীপে নির্জন প্রকৃতির মাঝে সেবা দিয়ে আসছে এই রাইন্যা টুগুণ ইকো রিসোর্ট। কাপ্তাই হ্রদের ধারে পাহাড়ি একটি দ্বীপে গড়ে তোলা হয়েছে রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট। যেখানে পর্যটকরা প্রকৃতির কাছাকাছি এসে নিরিবিলিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন। পাখির কিচিরমিচির ও নান্দনিক সব গাছে গড়ে তোলা হয়েছে এই স্থানটি।

সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত পুরো এলাকায় হ্রদের ধারে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের মাচাং। যেখানে বসে আড্ডার পাশাপাশি হ্রদে মৎস্য শিকারেরও সুযোগ রয়েছে। আর এই অনিন্দ্যসুন্দর জায়গাতে কটেজের পাশাপাশি তাবুতে রাত্রিযাপনের সুযোগ রয়েছে।

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের ৫ একর পাহাড়ি জায়গার ওপর রাইন্যা টুগুণ ইকো রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে। রাঙ্গামাটি শহর থেকে প্রায় ঘণ্টাখানিক সময় লাগে এই ইকো রিসোর্টে যেতে। শহরের আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে যেতে পারেন এই রিসোর্টে। এছাড়া কাপ্তাই উপজেলা হয়েও খুব সহজে যাওয়া যায় রাইন্যা টুগুণে।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা ফয়সাল খাঁন বলেন, ছুটিতে বন্ধুদের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসবো ভেবেছি। বন্ধুরা আসার আগে এই রাইন্যা টুগুণের কথা বলে। তারা যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে এসে দেখি তার চেয়েও সুন্দর জায়গাটি। একদম নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ। আমি কাপ্তাই হ্রদে কিছুক্ষণ কাইকিং করেছি আবার বিকেলে মাছ ধরবো। রাতে আশা করি হ্রদের সুস্বাদু মাছ দিয়ে ভালো একটা খাবার হবে।

পর্যটক জিয়াস উদ্দিন বলেন, রাঙ্গামাটি এমনিতে অনেক সুন্দর। রাইন্যা টুগুণ অনেক বেশি সুন্দর। আমরা রাতে তাবুতে থাকবো। আশা করছি পুরো সময়টা অনেক বেশি মজা করতে পারবো।

রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক নয়ন দাশ বলেন, রাইন্যা টুগুনের প্যাকেজ ভিত্তিক তাবুতে রাত্রিযাপন ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। জনপ্রতি ১২শ’ টাকা প্যাকেজে তাবুতে রাত্রিাযাপনের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে সন্ধ্যার নাস্তা, রাতের খাবার, সকালের নাস্তা এবং ৩০ মিনিট কাইকিং করার সুযোগ।

এছাড়া আমাদের একটি রিসোর্টের দুইটি রুম আছে আরও দুইটি রিসোর্টের কাজ চলমান। রিসোর্টগুলোতে কাপল থাকতে পারে। এদের দুইবেলা খাবারসহ এক রুমের ভাড়া পড়ে ৪৫০০ টাকা।

রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্টের উদ্যোক্তা ললিত সি. চাকমা বলেন, ভবিষ্যতে হয়তো পর্যটক মহলে এটি সমাদ্রিত হবে বলে আমি আশা করি।

সাইফুল উদ্দীন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।