গণশুনানিতে মেধাবী চয়নিকার স্বপ্ন পূরণ করলেন সাতক্ষীরার ডিসি

গণশুনানিতে গরিব মেধাবী এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন না জানার পর তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কার্যালয়ে গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তার বিষয়টি জানার পর আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম শামসুন্নাহার চয়নিকা। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার খোরদো বাটরা গ্রামের রেজাউল করিমের বড় মেয়ে। চয়নিকা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
শামসুন্নাহার চয়নিকা জাগো নিউজকে বলেন, আমি ২০১৯ সালে এসএসসি এবং ২০২১ সালে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। বর্তমানে ২০২১-২২ সেশনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছি।
তিনি জানান, তার বাবা একজন কৃষক। তারা তিন বোন। বর্তমানে তার বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। তাই তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না।
এজন্য জেলা প্রশাসকের গণশুনানিতে এসে তার সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক তাকে ভর্তির জন্য ১৭ হাজার টাকা দিয়েছেন। এজন্য তিনি জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, এটা আমাদের কোনো সহায়তা নয়। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তাই তার হাতে তুলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী চান কোনো ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা যেন আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বন্ধ হয়ে না যায়। আমি আমার সন্তান থেকেও তাদের বেশি স্যালুট জানাই।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে তারা আমার কাছে আসবে। তাদের প্রতি নজর রাখা আমাদের কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে যেন কারও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পড়ালেখা বন্ধ না হয়।
এদিকে মেয়ের স্বপ্ন পূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চয়নিকার বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ রেজাউল করিম।
গণশুনানিতে এনডিসি বাপ্পি দত্ত রনিসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আহসানুর রহমান রাজীব/এফএ/এএসএম