লালমনিরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকাণ্ডে থানায় মামলা

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীকে (৬৮) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এতে নাহিদুজ্জামান প্রধান ওরফে বাবু (২৫) নামের এক যুবককসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) সকালে নিহত ওয়াজেদ আলীর ছেলে রিফাত হাসান বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: বাসায় ফেরার পথে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা
অভিযুক্ত বাবু পাটগ্রাম পৌর এলাকার রসুলগঞ্জ নিউ পূর্বপাড়া মো. আব্দুস সামাদ প্রধান ছেলে। নিহত এম ওয়াজেদ আলী তাদের প্রতিবেশী ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাটগ্রাম ফাতেমা প্রি ক্যাডেটের অধ্যক্ষ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী। ওই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন নাহিদুজ্জামান প্রধান ওরফে বাবু। বার্ষিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। এরপর থেকে বাবু ফাতেমা প্রি ক্যাডেট স্কুলে আর যাননি।
৬ জানুয়ারি বাবু তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘সফলতার অন্যতম মূলমন্ত্র হলো প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে ওঠা। কারণ প্রতিহিংসার বসে আপনার কাছের মানুষগুলো না চেয়েও আপনার ক্ষতি করে বসে।’
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় জড়িতদের আটকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় পাটগ্রাম পৌর এলাকার পোস্ট অফিস পাড়ার বাসার সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বাবু পলাতক আছেন। তার ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। এ থেকেই সবার সন্দেহ সৃষ্টি হয়। তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, মামলার এজাহানামীয়সহ অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি আসামিরা খুব দ্রুত গ্রেফতার হবেন।
রবিউল হাসান/এসজে/এমএস