ভুয়া দলিলে সরকারি জমি আত্মসাতে মামলা, বাদীর অর্থদণ্ড

লক্ষ্মীপুরে ভুয়া দলিল দিয়ে সরকারি জমি আত্মসাতের মামলা করায় বাদী পারভিন আক্তারের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ মুনির হোসাঈন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সরকারি জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (জিপি) শ্যামল কান্তি চক্রবর্তী জানান, সৃজিত দলিল দিয়ে সরকারের ৯ শতাংশ খাস জমি আত্মসাতের জন্য বাদী মামলা করেন। আদালতে তার দলিল ভুয়া প্রমাণিত হয়। এতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদালত তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলিল বাজেয়াপ্ত ও মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত পারভিন সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী।
আদালত সূত্র জানায়, পারভিন সদর উপজেলার মজানদী মৌজার আরএস খাস খতিয়ানের ১১৪৫ দাগে ৯ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে ২০১৪ সালে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। এর আগে সিএস খতিয়ানে পিতাম্ভর মালী ওই জমির মালিক ছিলেন। পরে তার ছেলে সুভাষ চন্দ্র মালি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন।
আরও পড়ুন: নওয়াপাড়ায় সরকারি জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেজিস্ট্রি!
২০১০ সালের ৩ অক্টোবর সুভাষ জমি দেখবালের (আমমোক্তার নামা) জন্য পারভিনের স্বামী কালামকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু জমির মালিকানা দেননি। বিষয়টি গোপন রেখে চন্দ্রগঞ্জ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রতারণা করে একটি হেবা দলিল (২১৯৭) তৈরি করেন। এরমধ্যে সুভাষ তার দেওয়া আমমোক্তার নামা বাতিল করে নেন। এরপরও পারভিন ওই জমি আত্মসাৎ করতে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এতে বাদীকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
কাজল কায়েস/আরএইচ/জেআইএম