মসজিদের টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাবেক সভাপতি কারাগারে
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ মামলায় ওই মসজিদের সাবেক সভাপতি আসমত আলীকে (৫৭) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবু সাইদ ইমাম মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ছয় একরের বিশাল আয়তনের পুকুর পত্তন থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকাসহ কৃষিজমি পত্তন, দোকান ভাড়ার জামানত, দোকান ভাড়া, সিএনজি ও বাসস্ট্যান্ড ইজারা, গাছ ও ঘাস বিক্রি, পুরাতন মাদরাসাঘর ভাড়া, পরিত্যক্ত ঘর বিক্রি, গোরস্থান উন্নয়নের জন্য প্রাপ্ত অনুদান এবং বছরব্যাপী প্রাপ্ত অনুদান বাবদ আরও প্রায় ৫৯ লাখ টাকা মসজিদের আয় হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের দুই মাস পর শাশুড়িকে নিয়ে জামাই উধাও
আসমত আলী মসজিদটির সভাপতি থাকার সময় ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন এবং মসজিদ ও মসজিদের দোকানপাট সংস্কার বাবদ ব্যয় করেন ৩৩ লাখ টাকা। তার কাছে থাকা ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা থেকে যায়। পরে আসমত আলীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যরা পদত্যাগ করেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
এ পরিস্থিতিতে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। অডিট কমিটির সাবেক সভাপতি আসমত আলীকে একাধিকবার নোটিশ দিয়ে হিসাব বুঝিয়ে দিতে এবং তার হাতে থাকা মসজিদের টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে বলেন। কিন্তু আসমত আলী অডিট কমিটির আহ্বানে সাড়া দেননি।
পরে নতুন কমিটি ও মসজিদের মুসল্লিদের সিদ্ধান্তে কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান সেলিম বাদী হয়ে গতবছরের ১৮ মে আদালতে মামলা করেন। আদালত পিবিআই কিশোরগঞ্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। ৭ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। তবে প্রতিবেদনে আসমত আলী ১৫ লাখ ২৬ হাজার ৫৯২ টাকা ১৫ পয়সা আত্মসাৎ করেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এসআর/জিকেএস