গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ২

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পৃথক স্থানে শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মহানগরীর নলজানি ও ইটাহাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফারজানা হক ওরফে কচি (৩৩) ও আয়েশা সিদ্দিকা (৩)। কচি তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার লাউঘাটা গ্রামের মো. শাহনেওয়াজের স্ত্রী। অপরদিকে আয়েশা বাসন থানার ইটাহাটা এলাকার রাশেদুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: বাবার পর চলে গেলো ১২ বছরের মেয়েও
পুলিশ ও দমকল বাহিনী সূত্র জানায়, মহানগরীর নলজানি এলাকায় প্লাটিনাম টাওয়ারের অষ্টম তলার একটি ফ্ল্যাটে ফারজানা হককে নিয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মো. শাহনেওয়াজ বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রান্না ঘরে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এসময়ে তার শরীরের কাপড়ে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ নেভায়। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে ফারজানার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বাসায় তিনি ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লিকেজ হয়ে রান্নাঘরে গ্যাস জমে ছিল। তিনি যখন রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন তখন ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
অপর দিকে বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ইটাহাটা এলাকায় একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরির নতুন ফ্লোরের কাজ চলার সময় রাস্তার পাশে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আয়েশা সিদ্দিকার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামী, বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন স্ত্রীও
নিহতের দাদা মো. সোলায়মান জানান, তিনি পরিবার নিয়ে ইটাহাটা এলাকার আবুল হোসেন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। রাস্তার পাশে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নাতনির মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার জাহান জানান, গ্যাসের আগুন থেকে ওই পুলিশ সার্জেন্টের স্ত্রী ফারজানার মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে ইটাহাটা এলাকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মো. আমিনুল ইসলাম/আরএইচ/জিকেএস