নোয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ১০ দোকান পুড়ে ছাই
নোয়াখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ১০ দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ভোরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে নৈশপ্রহরী চিৎকার দিলে সবাই এগিয়ে আসেন। কিন্তু আগুনে তীব্রতা দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। এতে দুটি মুদি দোকান, একটি ক্রোকারিজ ও একটি চুনের দোকানসহ ১০টি দোকান পুড়ে গেছে।
তারা আরও জানান, এক বছরে এখানে অন্তত পাঁচবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শত শত ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছে। দখলদাররা বাজারের জলাশয়গুলো দখল করায় কাছাকাছি পানি না পেয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।
চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. বেলাল হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ৫৩ ঘণ্টা পর নিভলো লাগেজ কারখানার আগুন, ক্ষতি ‘দেড়শ কোটি’ -
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোন দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত তা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, দখলদাররা জলাশয় ভরাট করায় আগুন লাগলে পানি পাওয়া যায় না, এটি শতভাগ সত্য। চৌমুহনী গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এখানে জলাশয় দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/জেএস/জিকেএস