যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্যাতন, শরীরে জখমের চিহ্ন
![যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্যাতন, শরীরে জখমের চিহ্ন](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/bb-20230206131825.jpg)
মোংলায় লাখ টাকা যৌতুকের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর ভাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও থানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, পৌর শহরের মাকড়ঢোন এলাকার আসলাম হাওলাদারের (৩১) সঙ্গে বিয়ে হয় বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার জিউধারার বয়ারশিং গ্রামের এক তরুণীর (১৯)। সাত মাস আগে বিয়ে হলেও বিয়ের পর থেকে স্বামী আসলাম এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্যাতন করতো। সবশেষ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় আসলাম তার স্ত্রীকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে ওই তরুণীর এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তিনদিন ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন ওই তরুণী।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় বাগেরহাটের যৌনপল্লির নারীরা
ভোক্তভুগি তরুণী বলেন, আমার বাবা নেই, আমরা গরীব মানুষ। কিভাবে তাকে এক লাখ টাকা যৌতুক দিবো। এনিয়ে বিয়ের পর থেকেই আমাকে মারধর করেছে আসলাম। শনিবার আবারও টাকা চেয়ে আমাকে বেদমপারপিট করে ঘরে আটকে রাখে। আমার ভাই খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনদিন ধরে আমি হাসপাতালে। স্বামী আর শ্বশুর বাড়ি থেকে কেউ আমার খোঁজও নিতে আসেনি। আমার স্বামী আসলাম এখনও ফোন করে যৌতুকের টাকা চাইছেন। এ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার পরিবারের নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার প্রকাশ কুমার দাস বলেন, শনিবার বিকেলে শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক তরুণী। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ভাষ্যমতে তিনি স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভোক্তভুগির ভাই রোববার রাতে আসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: টহল ফাঁড়ির আঙিনায় জোড়া বাঘ, বনরক্ষীদের শ্বাসরুদ্ধকর ২০ ঘণ্টা
এদিকে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে আসলাম বলেন, এসব মিথ্যা কথা। আমার স্ত্রীকে আমি যৌতুকের জন্য মারধর করিনি। এটা পারিবারিক বিষয়।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবু হোসাইন সুমন/জেএস/জিকেএস