যুবককে প্রকাশ্যে নির্যাতন, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পূর্বশত্রুতার জেরে কুমিল্লা সদরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রিয়াদ হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা আদালতে মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- বাঙ্গামুড়া গ্রামের আক্তার হোসেন, মফিজুল ইসলাম মফিজ, আক্তার মিয়া, শফিউল্লাহ, শরবত আলী ও কাউছার। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বাঙ্গামুড়া গ্রামের মফিজ মিয়ার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত রিয়াদ হোসেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বাঙ্গামুড়া গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
আদালত সূত্র জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার বিকেলে সদর দক্ষিণ উপজেলার বাঙ্গামুড়া গ্রামের রিয়াদ হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর একই গ্রামের আক্তার হোসেন ও তার সহযোগী আক্তার মিয়া তাকে বেধড়ক নির্যাতন করেন। ঘটনার পর ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, সড়কের পাশে দুজন মিলে রিয়াদ হোসেনকে মাটিতে ফেলে নির্যাতন করছে। এ সময় রিয়াদ মা মা বলে চিৎকার করলেও স্থানীয়রা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি। তবে একাধিক ব্যক্তি জানান, নির্যাতনের সময় ভয়ে কেউ এগিয়ে যাননি।
আহত রিয়াদ জাগো নিউজকে বলেন, এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় স্থানীয় প্রভাবশালী মফিজ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে এর আগে আমাকে হত্যা চেষ্টা করেছিলেন। রোববার আক্তার হোসেন দা দিয়ে আমার মাথা-পায়ে কোপ দেন। একপর্যায়ে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পাঁচ লাখ ভারতীয় আতশবাজিসহ ৫ যুবক গ্রেফতার
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বাঙ্গামুড়া এলাকায় বেশ প্রভাবশালী মফিজ মিয়া। এর আগেও তিনি অন্তত ৫০টি সাধারণ পরিবারের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে। যারা এর প্রতিবাদ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যার কারণে তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেন না।
ভুক্তভোগীর বাবা আলেক মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, যারা আমার ছেলের ওপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
অভিযুক্ত মফিজ মিয়ার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ১০১ কেজি গাঁজাসহ দুই ভারতীয় নাগরিক আটক
কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, যুবককে প্রকাশ্যে নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া যারা এ ধরনের অন্যায় কাজ করে এদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ করা উচিত।
জাহিদ পাটোয়ারী/জেএস/জেআইএম