দারিদ্র্যকে জয় করে এইচএসসিতে চশিংমং মারমার চমক

জন্মের পর বাবাকে দেখেননি। তিন বছর আগে হারিয়েছেন মাকে। তারপরও দারিদ্র্যকে জয় করে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন রাঙ্গামাটির চশিংমং মারমা। কাপ্তাই কর্ণফুলী সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এ ফলাফল অর্জন করেছেন তিনি।
চশিংমং মারমা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৫ নম্বর ওয়াগ্গা ইউনিয়নের মুরালীপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বাবা মংমিচিং মারমা জীবিত আছেন কি না তা নিশ্চিত না চশিংমং মারমা। মা মেবুচিং মারমা তিন বছর আগে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মোবাইলে কথা হয় চশিংমং মারমার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘জন্মের পর বাবাকে দেখিনি। মায়ের মুখে শুনেছি তিনি আমাদের ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তিনি আদো বেঁচে আছেন কি না জানি না। তিন বছর আগে মাকেও হারিয়েছি।’
তিনি বলেন, আমরা দুই ভাইবোন। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। সংসারে বর্তমানে আমি একা। টিউশন করে লেখাপড়া খরচ চালাতাম। তবে আমার বোন এবং বোন জামাই আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।
জিপিএ-৫ অর্জনের পেছনে কলেজশিক্ষকদের অবদান অনেক বেশি বলে জানালেন চশিংমং মারমা। তিনি বলেন, ‘স্যাররা আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে প্রাইভেট শিক্ষক আনোয়ার স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
চশিমং মারমা বলেন, ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে। আমি আইন বিভাগে লেখাপড়া করে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
কর্ণফুলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম বেলাল চৌধুরী বলেন, ‘চশিংমং অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী ও মেধাবী ছেলে। সে এত সংগ্রাম করার পরও নিয়মিত কলেজে আসতো, ক্লাস করতো। প্রতিটি শিক্ষকের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
সাইফুল উদ্দীন/এসআর/জিকেএস