টুঙ্গিপাড়ায় আ.লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত : বঞ্চিতরা বিদ্রোহী


প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। রোববার কুশলী ইউনিয়নে  ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী তাজুল ইসলাম মোল্লা তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ফলে ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
 
কুশলী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান পারভেজ রেজা হাসানসহ  ৫ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। ইউনিয়ন কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যণ সম্পাদক মোহাম্মদ খালিদ হোসেনকে দল মনোনয়ন দেয়। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হন মো. তাজুল ইসলাম মোল্লা।

বর্ণি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন জোয়াদ্দারসহ ৯ জন দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন। দল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামকে (বাদশা মুন্সি) মনোনয়ন দেয়। মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন ও  মুক্তিযোদ্ধা  ফায়েক মিয়া বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। কিন্তু যাচাই বাছাইয়ে মো. ফায়েক মিয়ার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। পরে তিনি আপিল করেন এবং প্রার্থিতা ফিরে পান।

পাটগাতী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী মাসুদুল হকসহ ৮ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু  উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মিলন মোল্লাকে মনোনয়ন দেয় দল। ফলে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত মাসুদুল হক ও মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। এছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জাকারিয়া  ও স্বতন্ত্র প্রার্থী  হিসেবে পরিবহন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন।
 
গোপালপুর ইউনিয়নে ৫ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন চান। বঙ্গবন্ধু প্রজম্মলীগ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সুষেন সেনকে মনোনয়ন দেয় দল। মনোনয়ন বঞ্চিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ বাইন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন।

ডুমুরিয়া ইউনিয়নে ৭ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন চান। ইউনিয়নের সভাপতি কবির আলম তালুকদারকে দল মনোনয়ন দেয়। মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুখময় বাইন, মৃনাল কান্তি বিশ্বাস, বন্দে আলী বিদ্রোহী প্রার্থী  হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইসমত আলী মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

এদিকে ডুমুরিয়া ইউনিয়নে বিএনপি-র প্রার্থী নুরুল আমীন ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হাতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও-রহস্যজনক কারণে তার মনোনয়নপ্রত্র গ্রহণ করা হয়নি।

অপর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে একইভাবে বিএনপির প্রার্থীরা নানা বাধার মুখে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার খোরশেদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নূরুল আমীন সাহেবের যেখানে ফরম জমা দেয়ার কথা ছিল সেখানে তিনি জমা দেননি। এছাড়া যারা আমাদের কাছে ফরম চেয়েছেন আমরা সবাইকে দিয়েছি।

এস এম হুমায়ূন কবীর/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।