চালককে কলা-রুটি খাইয়ে অজ্ঞান করে ইজিবাইক চুরি

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ এএম, ১৫ মার্চ ২০২৩
স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ইজিবাইক চালক কিবরিয়া

বাগেরহাটের মোংলায় কলা, রুটি ও চা খাইয়ে চালককে অচেতন করে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়েছেন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইজিবাইক চালক ও মালিক কিবরিয়া। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের বড়কাটালী গ্রামের বাসিন্দা নুর ইসলাম গাজীর ছেলে কিবরিয়া গাজী পেশায় ইজিবাইক চালক। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিবরিয়া ইজিবাইক নিয়ে মোংলার চাঁদপাই এলাকায় আসেন। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী নেওয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তি তার ইজিবাইক ভাড়া করেন। তিনশ টাকায় ভাড়া করে ইজিবাইক নিয়ে দুপুর ১টার দিকে তারা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এরপর রোগী নামতে একটু দেরি হবে বলে ওই দুই ব্যক্তি ইজিবাইক চালক কিবরিয়াকে হাসপাতালের সামনের একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে চালককে রুটি, কলা ও চা খাওয়ান তারা।

এরপর ১০ মিনিটের মধ্যে চালক কিবরিয়ার ঘুম পেলে ও অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজেই গিয়ে হাসপাতালের মসজিদের বারান্দায় শুয়ে পড়েন। তখন জোহরের নামাজের ওয়াক্ত হওয়ায় মসজিদের ইমাম তাকে ডাকাডাকি করলেও না ওঠায় তিনি মসজিদের ভেতরে চলে যান। পরে নামাজ শেষে আবার ডাকাডাকি করলে না ওঠায় ধরে বসানোর চেষ্টা করেন। এসময় কিবরিয়া ঢলে পড়লে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান মসজিদের ইমাম জাহাঙ্গীর।

রাত ৯টার দিকে কিছুটা চেতন ফিরে পেলে কিবরিয়া বলেন, হাসপাতাল থেকে রোগী নেওয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তি ৩শ টাকায় তার গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ডেলিভারি রোগী নামতে দেরি হবে বলে তারা আমাকে চায়ের দোকানে নিয়ে কলা, রুটি ও চা খাওয়ান। এরপর কী হয়েছে তা বলতে পারবো না।

কিবরিয়ার বাবা নুর ইসলাম গাজী বলেন, ধারদেনা করে কিছু টাকা নগদ ও বাকিটা কিস্তিতে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে এক মাস আগে ইজিবাইক কেনেন। এরই মধ্যে তা চুরি হয়ে গেলো। খবর পেয়ে থানা পুলিশ হাসপাতালে এসে খোঁজ নিয়ে গেছে। কিবরিয়া সুস্থ হলে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছে পুলিশ।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ইজিবাইক চালক সুস্থ হলে তার কাছে শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া থানার এসআই মো. মিরাজুলকে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার পাশাপাশি তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

আবু হোসাইন সুমন/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।