ডিপিইওর স্কুল পরিদর্শন বিড়ম্বনা, রাত পর্যন্ত অপেক্ষা শিক্ষকদের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৩

টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) বিদ্যালয় পরিদর্শন বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন শিক্ষকরা। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান করতে হয়েছে বিদ্যালয়ে। যদিও বিদ্যালয় ছুটির সময় ছিল বিকেল সাড়ে ৩টা। অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন নারীসহ অসুস্থ শিক্ষকরা।

বুধবার (২২ মার্চ) এমন ভোগান্তির শিকার হয়েছেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

jagonews24

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, মধুপুরের শোলাকুড়ি ডিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) আবুল কালাম আজাদ। এ সংবাদে মধুপুর উপজেলার সীমানাবর্তী বিশেষ করে রাস্তার পাশের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সকাল সাড়ে ৮টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অবস্থান নেন। ডিপিও ফেরার পথে রাত পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে হয়েছে বিদ্যালয়ে। ফেরার পথে অফিস টাইমে পীরগাছা, ভুটিয়া, গাছাবাড়ী, জলছত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে পারেন তিনি।

কাকরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পৌর এলাকার চাড়ালজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালাউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চক গাংগাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অবস্থান করতে হয়েছে বিদ্যালয়ে। এ ভিজিটের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে মৌখিক ঘোষণা ছিল তিনি (ডিপিইও) শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ও বিদ্যালয়ের খোঁজখবর নেবেন।

শিক্ষকরা আরও জানান, সন্ধ্যায় এক বিদ্যালয়ে ঢুকে নামাজ পড়ার জন্য বের হন ডিপিইও। তখনো চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বাকি ছিল। এ কারণে ডিপিইওর জন্য রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে শিক্ষকদের।

রাত পৌনে ৮টার দিকে মালাউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোম্মানা জান্নাত বলেন, ‘এখন আমি বাসায়। আজ সন্ধ্যার সময় ডিপিইও স্যার বিদ্যালয় এসেছিলেন। তিনি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম দেখাসহ শিক্ষকদের খোঁজখবর নিয়ে গেছেন।’

মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান শামীম বলেন, ‘আমি শোলাকুড়ি স্কুলে গিয়েছিলাম। তাছাড়া অন্য কোনো স্কুলে আমি যাইনি।’

jagonews24

জানতে চাইলে মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, মধুপুরের শোলাকুড়ি ডিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে সকাল ১০টায় আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। বিকেল সাড়ে ৩টায় ওই বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেন। এসময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে তিনি আরও ৯টি বিদ্যালয়ে যান।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০০৯ সালের পর কোনো ডিপিইও উপজেলার বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করেননি বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। তিনি যাওয়ায় শিক্ষকরা ভীষণ খুশি হন।

তবে বিদ্যালয় ছুটির পর অতিরিক্ত সময় শিক্ষকদের অপেক্ষা ও বিড়ম্বনার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি ডিপিইও।


আরিফ উর রহমান টগর/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।