অপহরণের ১৮ দিনেও উদ্ধার হননি মা-ছেলে

গাজীপুরে অপহরণের ১৮ দিনেও উদ্ধার হননি মা ও তার শিশুপুত্র। গত ৯ মার্চ স্থানীয় মুক্তধারা বিদ্যানিকেতন থেকে ছয় বছরের শিশু সন্তান নাঈমুল হককে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে সন্তানসহ অপহরণের শিকার হন জাকিয়া আক্তার রুমা (৩২)। তিনি নগরীর পূবাইল থানার কামারগাঁও এলাকার নাজমুল হকের স্ত্রী।
ঘটনার পর পূবাইল থানাপুলিশ নগরীর কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকা থেকে রুমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রুমার স্বামী নাজমুল হক বাদী হয়ে সহোদর আজমুল হক ও আজমুলের স্ত্রী তানিয়া হকসহ অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে গত ১৩ মার্চ পূবাইল থানায় মামলা করেন।
পুলিশ আজমুল (৪৫) ও তার স্ত্রী তানিয়া (৩৫) এবং তানিয়ার কললিস্টের সূত্র ধরে পাবনার বেড়া থানার জয়নগর গ্রাম থেকে হাকিম আলীকে (৩০) গ্রেফতার করে। তবে তারা অপহরণের দায় স্বীকার না করায় ঘটনার কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না পুলিশ।
রুমার স্বামী নাজমুল হক জানান, তিনি পরিবার নিয়ে পূবাইল কামারগাঁওয়ের পৈতৃক বাড়িতে বসবাস করেন। একই বাড়িতে বড় ভাই আজমুল হকও পরিবার নিয়ে বাস করেন। বড় ভাই আজমুলের স্ত্রী তানিয়া মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কাজে জড়িত। বিভিন্ন অপরিচিত লোকজন ওই বাড়িতে তানিয়ার কাছে আসা-যাওয়া করেন।
নাজমুল ও তার স্ত্রী রুমা এসব বিষয় মেনে নিতে পারতেন না। তাই তাদের ওই বাড়ি থেকে বিতাড়নের জন্য মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন তানিয়া। বড় ভাই আজমুল হকও তানিয়াকে প্রশ্রয় দিতেন। এসব কারণে স্ত্রী-সন্তানকে তারাই অপহরণ করেছেন বলে ধারণা নাজমুলের।
এ ঘটনার পর নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিযোগ করে নাজমুল বলেন, ‘আমার নিজেরও এখন কোনো নিরাপত্তা নেই। তাই টঙ্গীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছি। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া-ঘুম ছেড়ে দিয়েছি।’
জানতে চাইলে পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমদের উদ্ধারে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। তাই ঘটনাটি পরিকল্পিত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আমিনুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম