মাছ চুরি-হত্যাচেষ্টা মামলা
ছেলেসহ কারাগারে নাটোর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
![ছেলেসহ কারাগারে নাটোর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/natore-cover-20230328205656.jpg)
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউনুস আলী ও তার ছেলে ইফতেখার রহমান সৌরভকে মাছ চুরি, মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে আমলি আদালতের বিচারক মোসলেম উদ্দিন বাবা-ছেলেকে কারাগারে পাঠান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক ইউনুস আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত এস এম আবুল কালাম আজাদের পরিবারের ৩৩ শতাংশের একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সকালে ইউনুস আলী ওই পুকুর থেকে আনুমানিক দেড় মণ মাছ ধরে বাড়ি নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সেলিনা বানু ডেজি, তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন, দেবর এস এম হুমায়ুন কবির ও দেবরের স্ত্রী নাজমুন নাহার মিতাসহ অন্যদের নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে ইউনুস আলীর বাড়িতে যান।
এসময় ইউনুস আলী, তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফরিদা পারভীন ও তাদের ছেলে ইফতেখার রহমান সৌরভ তাদের মারধর করেন। তারা মারধরের পাশাপাশি সেলিনা বানু ডেজিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। এছাড়া ইউনুস আলী ও তার ছেলে ডেজির সোনার চেন ছিঁড়ে নেন এবং টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করেন।
এ ঘটনায় সেলিনা বানু ডেজি বাদী হয়ে মামলা করার পর অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিন নেন। মঙ্গলবার মামলার নির্ধারিত তারিখে পুনরায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক বাবা-ছেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। তবে অধ্যাপক ইউনুস আলীর স্ত্রী ফরিদা পারভীনকে জামিন দেন আদালত।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সুখময় রায় বিপ্লু বলেন, পুকুর নিয়ে বিবাদের জেরে অধ্যাপক ইউনুস আলী প্রথমে মামলা করেন। পরে তার কাউন্টার মামলা হিসেবে সেলিনা বানু ডেজি এ মামলাটি করেন। বিচারক মামলায় জামিনে থাকা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক ইউনুস আলী ও তার ছেলে ইফতেখার রহমান সৌরভকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। একই মামলায় ইউনুস আলীর স্ত্রীকে জামিন দিয়েছেন।
রেজাউল করিম রেজা/এমআরআর/এএসএম