খুঁটি পড়ে ইউপি সদস্যের ঘর বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎহীন ৪০০ পরিবার

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৩

বাগেরহাটের মোংলায় বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে এক নারী ইউপি সদস্যের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) দিনগত রাত ১২টার দিকে হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে পল্লী বিদ্যুৎতের খুঁটি ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে রাত থেকেই ওই এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে।

বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদয় শংকর রায় জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এতে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪, ৫, ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য চন্দ্রিকা রায়ের (৩২) বসতঘরের ওপর পল্লী বিদ্যুৎতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। চন্দ্রিকা ও তার স্বামী-সন্তান প্রাণে বাঁচলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘর।

jagonews24

এদিকে খুঁটি পড়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রামপালের ভাগা কার্যালয়ের ডি জি এম নওশের আলী।

তিনি বলেন, আমি ২৫ জন শ্রমিক ও প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে ঘটনাস্থলে এলেও ইউপি সদস্য চন্দ্রিকাসহ স্থানীয়রা ঘরের ক্ষতিপূরণের দাবিতে কাজে বাধা দেন। আলোচনা শেষে দুপুর ২টার দিকে পিলারটি সরানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঘরের ক্ষতিপূরণ না দিলে স্থানীয়রা নতুন করে পিলার বসাতে দেবেন না বলে বাধা সৃষ্টি করেছেন।

নওশের আলী আরও বলেন, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কথাবার্তা চলছে। যদি নতুন পিলার বসাতে না দেওয়া হয় তাহলে আমরা চলে যাবো। তাতে এলাকার ৪০০ পরিবার অন্ধকারে থাকবে। এরপরও দেখছি কি করা যায়।

jagonews24

সংরক্ষিত নারী সদস্য চন্দ্রিকা রায় বলেন, পিলার পড়ে আমার পুরো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, ‘ঘরের সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ না দিলে আমি নতুন করে পিলার বসাতে দেবো না।’

তিনি আরও বলেন, ঝড়ে পিলারটি পড়ে সংরক্ষিত নারী মেম্বারের বসতঘর বিধ্বস্তসহ গত রাত থেকেই বিদ্যুৎহীন দিগরাজ বাযজার ব্যাংক রোড থেকে বুড়িরডাঙ্গার দীপক মেম্রেোর বাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা প্রায় ৪শ পরিবার।

আবু হোসাইন সুমন/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।